দুর্গাপুজোর প্রতিমা নিরঞ্জনের দিন নির্দিষ্ট হল ১৫ থেকে ১৮ই অক্টোবর
পরিস্থিতি অনেকটা আয়ত্তে এলেও এখনও কাটেনি করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা। ফলে গতবারের মতোই এবারও বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপুজো নিয়ে সতর্ক কলকাতা পুলিশ। নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটোসাঁটো করার পাশাপাশি বিসর্জনেরও দিনও ঘোষণা করল প্রশাসন। বৃহস্পতিবার কলকাতা পুলিশের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন কমিশনার সৌমেন মিত্র। ২০২০-তে কোভিডের আশঙ্কা ও হাইকোর্টের নির্দেশের জেরে পুজো মণ্ডপ এবং রাস্তায় ভিড় কম ছিল। এবারও হাইকোর্টের একই নির্দেশ বহাল রয়েছে। তবে গতবারের তুলনায় রাস্তাঘাট এবং পুজো মণ্ডপগুলিতে ভিড় বেশি হবে বলে মনে করছে পুলিশ। বিশেষ করে গাড়ির সংখ্যা অনেক বেশি হতে পারে। তাই যানজট এড়াতে ট্র্যাফিক ম্যানেজমেন্টের উপর জোড় দিতে বলা হয়েছে। কলকাতার গুরুত্বপূর্ণ ক্রসিংগুলোতে ট্র্যাফিক পুলিশের সঙ্গে ল অ্যান্ড অর্ডার ফোর্সকেও থাকতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, শুধু রাতে নয়, দিনের বেলাতে অনেক লোক বেরোতে পারে। তাই দিনের বেলাতেও বেশি পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন রাখতে বলা হয়েছে। যত্রতত্র যাতে পার্কিং না হয়, সেই বিষয়টিও দেখার নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা পুলিশের কমিশনার সৌমেন মিত্র। শহর কলকাতায় প্রায় ২৭০১টি দুর্গাপুজো হয়। কলকাতা পুলিশের তরফে এবার প্রতিমা নিরঞ্জনের জন্য চারদিন বরাদ্দ করা হয়েছে। ১৫ই অক্টোবর দশমী থেকে ১৮ই অক্টোবর সোমবার পর্যন্ত প্রতিমা নিরঞ্জন করা যাবে। প্রতিপদ থেকেই পুজোর উদ্বোধন শুরু করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবারও উদ্যোক্তাদের বিধি-নিষেধ মেনেই দুর্গাপুজোর আয়োজন করতে হবে। সেই মর্মেই পুজোর নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। সিঁদুর খেলা, আরতি, অঞ্জলি -সহ সব আচারে শর্তসাপেক্ষে অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। তবে বড় ক্লাবের ক্ষেত্রে ৫০-৬০ জন নথিভুক্ত সদস্য এবং ছোট ক্লাবের ক্ষেত্রে ১০-১৫ জন আচার পালন করতে পারবেন।