দুর্গাপুজোয় কেমন হবে হবু মায়েদের সাজ, রইল টিপস
একজন মহিলার জীবনে মাতৃত্ব সেরা অনুভূতি। তার মতো বোধহয় সুন্দর সময় তার জীবনে আর কিছুই নেই। প্রথম যেদিন নিজের শরীরের মধ্যে প্রাণের উপস্থিতি অনুভব করেন, সেদিন থেকে কত না পরিকল্পনা। নিজের সামান্য অবহেলা করতেও ভয় পান হবু মায়েরা। কারণ, অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় হবু মায়ের সামান্য অবহেলা তাঁর গর্ভস্থ সন্তানের উপর বড়সড় প্রভাব ফেলতে পারে।
তাই অন্তঃসত্ত্বা হওয়া মানেই ডায়েটের চিন্তাভাবনা বাদ। বাড়তে থাকে ওজন। আর তার ফলে তাঁর সব পোশাকই আর ফিট হয় না। তাই বাড়ি থেকে বেরতে গেলে কী পরবেন, তা ভেবেই মাথায় হাত হবু মায়েদের। তবে মাথায় হাত দেওয়ার কিছুই নেই। কারণ, আপনার আলমারিতে থাকা পোশাকের সাহায্যে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থাতেই আপনি নিজেকে নতুনভাবে সাজিয়ে তুলতে পারেন।
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় ওজন বৃদ্ধি খুব স্বাভাবিক বিষয়। অনেক মহিলাই এই সময় নিজেকে মোটা ভেবে হীনমন্যতায় ভোগেন। এই ভাবনাচিন্তা আজই বদলে ফেলুন। পরিবর্তে এই সময়ে নানারকম পোশাক পরুন। তবে এই সময়ে আঁটসাঁট পোশাক পরবেন না। কারণ, বেশি আঁটসাঁট পোশাকে অন্তঃসত্ত্বার শরীরে অস্বস্তি হতে পারে।
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় নিজেকে চনমনে রাখতে একটু বেশি রঙিন পোশাক পরতে পারেন। কারণ, এই সময় মন ভাল থাকলে তবেই গর্ভস্থ সন্তানও ভাল থাকবে।
বিভিন্ন ধরনের কাটের পোশাক পরুন। পরতে পারেন ম্যাক্সি ড্রেস। আবার আপনি স্বচ্ছন্দ্য বোধ করলে পরতে পারেন হাঁটু ঝুলের পোশাকও পরতে পারেন।
পোশাকের সঙ্গে সঠিকভাবে গয়না বাছাইও অত্যন্ত জরুরি। তাই অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় নিজেকে মোহময়ী করে তুলতে পোশাকের সঙ্গে মানানসই গয়না পরতে পারেন। সোনার গয়না কিংবা হালফ্যাশনের জাঙ্ক জুয়েলারিতে নিজেকে সাজিয়ে তুলুন।
পোশাকের পাশাপাশি জুতো বাছাইও কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে এই সময় হিল তোলা জুতো এড়িয়ে চলুন। তাতে পড়ে গিয়ে চোটাঘাত পাওয়ার আশঙ্কা যেমন রয়েছে, তেমনই আবার গর্ভাবস্থায় কোমরের যন্ত্রণার সমস্যাও বাড়তে পারে।