জমা দিলেন মনোনয়ন, খড়দহে তৃণমূলের জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী শোভনদেব
পুজো মিটলেই রাজ্যের চার বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। আর তাই বৃহস্পতিবার বারাকপুরের মহকুমাদপ্তরে মনোনয়নপত্র জমা করলেন খড়দহের তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ( Sovandeb Chattopadhyay)। এদিন সকালে খড়দহের শ্যামসুন্দর মন্দিরে পুজো দিয়ে মনোনয়পত্র জমা করতে যান তিনি। মন্দিরে পুজো দেওয়ার পর তাঁর মাথায় ছিল লাল ‘চুনরি’।
৩০ সেপ্টেম্বর রাজ্যের খড়দহ (Khardah)-সহ রাজ্যের চার কেন্দ্র বিধানসভা উপনির্বাচন (West Bengal By Election)। ভোটের ফলপ্রকাশের আগেই মৃত্যু হয়েছিল তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিনহার। তাঁর পরিবর্তে এবার প্রার্থী হয়েছেন বর্ষীয়ান মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। নাম ঘোষণার পর থেকেই জোরদার প্রচার চালাচ্ছেন তিনি। তবে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মেনে পুজোর সময় প্রচার করবেন না তিনি। পুজোর আগে এদিন মনোনয়নপত্র জমা করলেন তিনি।
সকাল সকাল কোভিডবিধি মেনে কয়েকজন দলীয় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে খড়দহের শ্যামসুন্দর ও কালী মন্দিরে পুজো দেন শোভনদেববাবু। ‘চুনরি’ প্রার্থীর মাথায় বেঁধে দেন মন্দিরের পুরোহিত। মন্দির থেকে বেরিয়ে প্রার্থী বলেন, “খড়দহে প্রথম যেদিন এসেছিলাম সেদিন শ্যামসুন্দর মন্দিরে পুজো দিয়েছিলাম। এদিনও সেখানে পুজো দিয়ে মনোনয়ন জমা করতে যাচ্ছি। প্রার্থনা করলাম, আশীর্বাদ চাইলাম। যত বিধানসভা ভোটে এখনও পর্যন্ত দাঁড়িয়েছি সেথানে হারিনি। এবারও জেতার প্রার্থনা করলাম।”
প্রসঙ্গত, বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার আগেই করোনায় মৃত্যু হয় খড়দহের তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিনহার। ফল প্রকাশের পর জানা যায়, তিনি জয়ী হয়েছিলেন। পরবর্তীতে ভবানীপুরের বিধায়ক পদ ছাড়েন রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। খড়দহের বিভিন্ন রাজনৈতিক এবং সামাজিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে শুরু করেছিলেন। কানাঘুষো শুরু হয়, খড়দহ থেকেই উপনির্বাচনে লড়াই করবেন তিনি। এখনও দলের তরফে প্রার্থীর নাম ঘোষণা না হলেও শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের সমর্থনে খড়দহে শুরু হয়েছে প্রচার। প্রয়াত কাজল সিনহা আসনে লড়ছেন তিনি। কাজল সিনহার স্ত্রী জানিয়েছিলেন, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় তাঁর দাদার মতো। প্রয়োজনে তাঁর হয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচারও করবেন প্রয়াত তৃণমূল নেতার স্ত্রী।