লখিমপুরকে হাতিয়ার করে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না কংগ্রেস, পিকের মন্তব্যে শুরু রাজনৈতিক তরজা
সম্প্রতি তৃণমূলের শারদ সংখ্যায় তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখনীতে কংগ্রেসের সমালোচনা ফুটে উঠেছিল। এবার নাম না করে সেই কংগ্রেসকেই আক্রমণ করে বসলেন ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর।
শুক্রবার সকালে প্রশান্ত কিশোর টুইটে জানান, ‘লখিমপুরের ঘটনার ওপর ভিত্তি করে জিওপির নেতৃত্বাধীন বিরোধীরা দ্রুত ঘুরে দাঁড়াবে যারা মনে করছেন, তারা হতাশ হবেন। দুর্ভাগ্যবশত জিওপির গভীরে থাকা সমস্যা ও কাঠামোগত দুর্বলতার কোনও দ্রুত সমাধান নেই।’ প্রশান্ত কিশোরের এই টুইট যে কংগ্রেসকে নিশানা করেই তা বলার কোনও অপেক্ষা রাখে না। প্রশান্ত কিশোর তাঁর টুইটের মাধ্যমে বুঝিয়ে দিয়েছে, কংগ্রেসের এই মুহূর্তে সাংগঠনিক ক্ষমতা নেই বিরোধী শক্তিকে একত্রিত করার।
টুইটে কংগ্রেসকে ভোট কুশলী জিওপি অর্থাৎ গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি বলে অভিহিত করেছেন। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে তৃণমূল যখন তাঁর ঘুঁটি সাজাচ্ছে, সেখানে প্রশান্ত কিশোরের এই টুইট অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। প্রশান্ত কিশোরের দেওয়া স্ট্র্যাটিজির ওপর ভিত্তি করেই গত বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করেছে তৃণমূল। আগামী লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের স্ট্র্যাটেজিস্টের ভূমিকায় রয়েছে প্রশান্ত। এই প্রেক্ষাপটে প্রশান্তের এই ধরনের মন্তব্য রাজনৈতিক মহলের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
প্রসঙ্গত প্রাথমিক ভাবে লখিমপুরে রাজনৈতিক দলগুলিকে যেতে দিচ্ছিল না যোগী পরিবার। তখন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী জানিয়েছিলেন, তৃণমূলকে মৃত কৃষকদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হলেও কংগ্রেসকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। কিভাবে তাঁরা যেতে পারলেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন রাহুল গান্ধী। যদিও এর উত্তর তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই দিয়ে দিয়েছেন। কংগ্রেস যে বিরোধী জোটের ভরকেন্দ্রে নেই, সেকথা এর আগে বার বার বুঝিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। তবে এরপরেই প্রিয়াঙ্কা গান্ধী মাটি আঁকড়ে পড়ে থেকে লখিমপুর যাওয়ার অনুমতি পান। তিনি ও রাহুল মিলে লখিমপুরে যান। এতে কিছুটা হলেও কংগ্রেসের পালে হাওয়া লেগেছে বলে কিছু রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতামত। কিন্তু প্রশান্ত কিশোরের মতে কংগ্রেসের ভিতে ঘুন ধরেছে, সেটা বহিরাঙ্গের চাকচিক্যে ঢাকা পড়বে না। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেও কিশোর কংগ্রেসে আসছেন বলে জোর গুজব রটেছিল। কিন্তু এদিন তিনি নাম না করে যেভাবে দলকে একহাত নিলেন, তাতে ওই সম্ভাবনা যে খুবই কম, তা বলেই দেওয়া যায়।