ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল বাংলার একাধিক জেলা, আতঙ্কে সাধারণ মানুষ
আচমকাই ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলা। গতরাতে প্রায় ১২টা নাগাদ ভূমিকম্প অনুভূত হয় উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায়। জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে কম্পনের মাত্রা অনেকটাই ছিল। তাছাড়া দক্ষিণ দিনাজপুরের বিভিন্ন জায়গায় মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়। জানা গিয়েছে, এই ভূকম্পনের উৎসস্থল মায়ানমার। রিখটার স্কেলে এই কম্পনের তীব্রতা ৫.৫।
এদিকে মাঝরাতে ভূমিকম্পে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন উত্তরবঙ্গবাসী। অনেক জায়গাতেই দেখা যায় বাড়ি ছেড়ে রাস্তায় এসে দাঁড়িয়ে পড়েছেন মানুষজন। অনেককেই উলুধ্বনি দিতে বা শঙ্খ বাজাতে দেখা যায়। বহুতলে কম্পন বেশি অনুভূত হয় বলে জানা গিয়েছে স্থানীয়দের থেকে। উত্তর-পূর্বের বেশ কয়েকটি রাজ্যেও এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট সহ বাংলাদেশের একাধিক স্থানে এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে সবথেকে বেশি কম্পন অনুভূত হয়।
মায়ানমারের মনিওয়া নামক এলাকা থেকে ৪৬.১ কিলোমিটার দূরে ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল বলে জানা যায়। ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৪৮ কিলোমিটার গভীরে কম্পনটি হয় বলে জানা গিয়েছে। ভূমিকম্পে এখনও পর্যন্ত কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
এর আগে বৃহস্পতিবার ভোররাতেই পাকিস্তানের বালোচিস্তানও কেঁপে উঠেছিল ভূমিকম্পে। ভয়াবহ কম্পনে ছয় শিশু সহ মোট ২০ জন মারা যায় সেদেশে। দক্ষিণ পাকিস্তানের কোয়েটা থেকে ১০২ কিমি উত্তর-পূর্বে ভূমিকম্পের উত্পত্তিস্থল ছিল বলে জানা যায়। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.৯। মাটি থেকে ১০ কিলোমিটার গভীর এর উৎপত্তিস্থল। তাছাড়া জাপানের রাজধানী টোকিওতে শক্তিশালী ভূমিকম্প হয় গতকাল। রিখটার স্কেলে যার তীব্রতা ছিল ৬.১। এর জেরে বিভিন্ন এলাকার বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। বন্ধ করে দেওয়া হয় ট্রেন চলাচল। তবে সুনামির কোনও সতর্কতা জারি করা হয়নি।