‘বহিরাগত’ প্রার্থীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ গোসাবায়, চাপে বিজেপি
গোসাবা উপনির্বাচন লড়তে ফের এক দলবদলুর উপরই ভরসা করতে হল বিজেপিকে। এই কেন্দ্রে পলাশ রাণাকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে তারা। তিনি বছর খানেক আগে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার পলাশবাবুর নাম ঘোষণা হতেই গোসাবার বিজেপি কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। কারণ তাঁরা স্থানীয় প্রার্থী চেয়েছিলেন। কিন্তু অন্য সাংগঠনিক জেলার নেতাকে এখানে দাঁড় করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এদিকে, এদিন ক্যানিং মহকুমা অফিসে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সুব্রত মণ্ডল।
সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়া এক দলবদলুকে টিকিট দিয়েছিল বিজেপি। তিনি স্থানীয় হলেও ভোটে জিততে ব্যর্থ হয়েছেন। এবার উপনির্বাচনেও সেই একই পথে হাঁটল দল। তাহলে কি স্থানীয় কোনও মুখের অভাবেই এমন সিদ্ধান্ত? প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলের। এই প্রসঙ্গে পলাশ রাণা বলেন, পার্টির হয়ে কাজ করছি। আমার নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল বলে দল টিকিট দিয়েছে। উল্লেখ্য এই প্রার্থী মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার দায়িত্বে রয়েছেন।
একটা সময় জেলায় তৃণমূলের সক্রিয় সদস্য ছিলেন এই বিজেপি প্রার্থী। রায়দিঘিতে বেশি পরিচিতি তিনি। এবারের ভোটে ওই কেন্দ্র থেকে টিকিট পাওয়ার অন্যতম দাবিদার ছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পলাশবাবুকে প্রার্থী করা হয়নি।
তাতে কিছুটা অসন্তোষ দানা বেঁধেছিল। এবার শেষমেশ প্রার্থী হলেন তিনি। কিন্তু বিজেপি তাতেও খুব একটা স্বস্তিতে নেই বলে মনে করে রাজনৈতিক মহল। বিধানসভার পরাজিত প্রার্থী এখন তৃণমূলে ফিরে এসেছেন। ভোটে যেসব নেতা-কর্মীরা লড়াই করেছিলেন, তাঁদের মধ্যে থেকে কাউকেই প্রার্থী করা হল না কেন? এই প্রশ্নে চাপা ক্ষোভ রয়েছে। তবে এসবকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না বিজেপি প্রার্থী। বরং তাঁর দাবি, এই কেন্দ্রে জেতার সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে তাঁর।
এদিকে, এদিন দলবেঁধে গিয়ে মনোনয়ন জমা দিলেন তৃণমূল প্রার্থী। বাসন্তীর বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল সহ আরও কয়েকজন নেতা-কর্মীকে নিয়ে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন তিনি। আজ, শুক্রবার মনোনয়নপত্র জমা দেবেন বিজেপি প্রার্থী।