রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

উদ্যোগ খোদ মুখ্যমন্ত্রীর! সিঙ্গুরে হল সন্তোষী মায়ের বিশেষ পুজো

October 9, 2021 | 2 min read

রাজ্যের কৃষিজমি আন্দোলনের অন্যতম পীঠস্থান হিসেবে গোটা দেশের কাছে প্রতিষ্ঠিত নাম সিঙ্গুর। ২০০৬ সাল থেকে শুরু হওয়া সেই আন্দোলনের প্রধান পুরোধা ছিলেন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথমে কৃষিজমির উপর টাটার মোটরগাড়ি কারখানা তৈরি আটকে দেওয়ার সাফল্য। পরে ক্ষমতায় এসে ওখানকার জমি ফেরতের জন্য তৈরি আইনে সুপ্রিম কোর্টের সিলমোহর পাওয়ার মাধ্যমে তাঁর সেই আন্দোলনের জয় পূর্ণতা লাভ করেছিল বলে মনে করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তারপরই তিনি সিঙ্গুরের বাজেমেলিয়ায় সন্তোষী মায়ের একটি ঝাঁ চকচকে মন্দির প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন। নিয়ম করে মন্দির এবং মায়ের পুজোর খবরও নেন স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী বেচারাম মান্নার কাছে। 

সেই বেচারামকে নির্দেশ দিয়ে শুক্রবার ওই মন্দিরে সন্তোষী মায়ের বিশেষ পুজোর ব্যবস্থা করালেন। সারা দিন উপোসও থাকলেন তৃণমূল সুপ্রিমো এজন্য। মায়ের জন্য মন্ত্রীর হাত দিয়ে আগেই পাঠিয়েছিলেন নতুন বেনারসী শাড়ি। সেই শাড়ি পরিয়েই এদিন রীতিমতো হোম-যজ্ঞ করে পুজোর আয়োজন করে স্থানীয় কমিটি। বেচারাম ও তাঁর স্ত্রী ডাঃ করবী মান্না সকাল থেকেই সেই পুজোয় সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। পুজোর যাবতীয় ছবি ও ভিডিও দ্রুত মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়। 

এদিন বেচারাম বলেন, এই মন্দির তৈরির পিছনে দিদির আবেগ জড়িত শুরু থেকেই। যখনই তিনি ওই তল্লাট দিয়ে যাতায়াত করেন তখনই গাড়ির গতি কমিয়ে দূর থেকে প্রণাম জানান মাকে। আসলে অনেক আগে থেকেই তিনি ফি শুক্রবার সন্তোষী মায়ের ব্রত পালন করে আসছেন। তবে সিঙ্গুর আন্দোলনের সাফল্য তাঁকে আরও বেশি আবেগতাড়িত করেছে এব্যাপারে। অনেক ঝড়ঝাপটা মোকাবিলা করে এবার নির্বাচনে বিপুলভাবে জয়লাভ করার পর থেকেই তিনি ওই মন্দিরে একটি বিশেষ পুজোর জন্য আগ্রহ দেখান। শেষ পর্যন্ত ভবানীপুরের উপনির্বাচন জয়ের পর তাঁর সেই ইচ্ছার বাস্তবায়ন সম্ভব হল এদিন। এলাকার মানুষের তরফে, আমরাও এদিন তাঁর কল্যাণে মায়ের কাছে পুজো অর্পণ করেছি। 

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Singur

আরো দেখুন