দেশ বিভাগে ফিরে যান

আকাশ ছুঁতে চলেছে ওষুধের দাম, নাভিশ্বাস সাধারণ মানুষের

October 9, 2021 | 2 min read

পেট্রল, ডিজেল, রান্নার গ্যাস তো ছিলই, এবার ওষুধ নিয়েও চরম উদ্বিগ্ন রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া। আশঙ্কা, আকাশ ছুঁতে চলেছে ওষুধের দাম। শুক্রবার রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নীতি নির্ধারণ কমিটির বৈঠকের পর গভর্নর শক্তিকান্ত দাস নিজেই বলেছেন, ‘আগস্টে মাসে সব্জি ও খাদ্যপণ্য কিছুটা সস্তা হওয়ার আভাস দেখিয়েছে। কিন্তু আগামী মাসগুলিতে আবার যদি চাহিদা ও জোগানের ফারাক বাড়তে থাকে, ফের ঊর্ধ্বমুখী হবে খাদ্যপণ্যের দাম।’ শক্তিকান্ত দাস খাদ্যপণ্যের পড়তি দাম নিয়ে যতই দাবি করুন না কেন, খুচরো বাজারে তার কোনও প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না। খাদ্যশস্য, সব্জির দাম রীতিমতো নাভিশ্বাস তুলেছে সাধারণ মানুষের। তার সঙ্গে যোগ হয়েছে ওষুধ। বাজারচলতি বহু ওষুধের দামই গত এক বছরে বেশ কয়েকবার বেড়েছে। অত্যন্ত ধীরে ধীরে এই দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় টনক হয়তো নড়েনি, কিন্তু মধ্যবিত্ত হাড়ে হাড়ে এর প্রভাব টের পেয়েছে। এদিন গভর্নরের বিবৃতিতে ছিল তারই প্রতিফলন। তিনি বলেছেন, জ্বালানির পাশাপাশি উদ্বেগের আর একটি বিষয় হল, ওষুধের দাম বৃদ্ধি। এই প্রবণতা কমার লক্ষণ এখনও দেখা যাচ্ছে না। কোভিডকালে ওষুধ ও চিকিৎসার খরচ হু হু করে বেড়েছে। মাঝেমধ্যেই প্রয়োজনীয়, এমনকী জীবনদায়ী ওষুধও বাজার থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে। কিনতে হয়েছে দ্বিগুণ-তিনগুণ দামে। সেই দাম কেউ কেউ আর কমায়নি। ফলে সামগ্রিকভাবে প্রভাব পড়েছে ওষুধের দামে। বিশেষ করে, চীনের বিদ্যুৎ সঙ্কট এবং সেখানে উৎপাদন ও রপ্তানি কমে যাওয়ায় আগামী দিনে ওষুধের দাম আরও বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

তবে পেট্রল, ডিজেল, রান্নার গ্যাস ও প্রাকৃতিক গ্যাসের দামে যে রাশ টানা যাচ্ছে না, সেকথা স্বীকার করে নিয়েছেন আরবিআই গভর্নর। যদিও মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত কোনও দিশা এরপরও দিতে পারেননি তিনি। শক্তিকান্ত দাস শুধু আশা প্রকাশ করেছেন, চলতি আর্থিক বছরের শেষে মুদ্রাস্ফীতির হার ৫.৩ শতাংশের আশপাশে থাকবে। প্রসঙ্গত, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মাপকাঠি অনুযায়ী মুদ্রাস্ফীতির হার ৫ শতাংশের নীচে থাকা অবশ্যই কাম্য। তাহলেই সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়বে। আর তখন ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বাজারে। কিন্তু শুক্রবার নীতি নির্ধারণ কমিটির বৈঠকে মুদ্রাস্ফীতির হার ৫ শতাংশের নীচে যাওয়ার আশা দেখানো হয়নি। মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আশঙ্কা এখনও যে কেবল থেকেই যাচ্ছে তা নয়! আগামী মাসগুলিতে এই হার আরও বাড়তে পারে। তাই নীতি নির্ধারণ কমিটির বৈঠকে রেপো রেটের কোনও পরিবর্তন করা হয়নি। রেপো রেট ৪ শতাংশ, রিভার্স রেপো ৩.৩৫ শতাংশই রাখা হয়েছে। অর্থাৎ এই উৎসবের মরশুমে বাড়ি-গাড়ি সহ শিল্পক্ষেত্রেও ব্যাঙ্কঋণের উপর আর নতুন করে ছাড়ের আশা সম্ভবত নেই।

এরই মধ্যে অবশ্য ব্যাঙ্কের ইমিডিয়েট পেমেন্ট সার্ভিস অর্থাৎ তাৎক্ষণিক টাকা ট্রান্সফারের সিদ্ধান্তে বড়সড় বদল আনা হয়েছে বৈঠকে। শুক্রবার রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নীতি নির্ধারণ কমিটি স্থির করেছে, এবার থেকে এই তাৎক্ষণিক টাকা ট্রান্সফারের (আইএমপিএস) ঊর্ধ্বসীমা ২ লক্ষ থেকে বেড়ে হবে ৫ লক্ষ টাকা। অর্থাৎ অনলাইন, ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং কিংবা মোবাইল ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় এবার একসঙ্গে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত একটি অ্যাকাউন্ট থেকে অন্য অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করা যাবে। 

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Medicine, #price rise

আরো দেখুন