কলকাতা বিভাগে ফিরে যান

নিউটাউনেই এবার মরুশহরের স্বাদ, শ্রীভূমির থিম বুর্জ খলিফা

October 10, 2021 | 2 min read

তুষারাবৃত কেদারনাথের শৈত্যপ্রবাহ এবার বদলে গিয়েছে মরুশহরের বিস্ময়ে। ভিআইপি রোডের ধারে অভিজাত পাড়ায় মাথা তুলে দাঁড়িয়ে বিশ্বের উচ্চতম অট্টালিকা, বুর্জ খলিফা। অভিনবত্ব যেন শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের সঙ্গে হাত ধরাধরি করে পথ চলে। প্রতিবারই থাকে চমক। এবার সেই ঔজ্জ্বল্যকে অন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছেন শিল্পী- উদ্যোক্তারা। অত্যাধুনিক আলোর কারসাজি এবং মা দুর্গার গহনার সাজ পুজোপ্রেমীদের চোখ টানতে বাধ্য। দুবাইয়ের বিখ্যাত অট্টালিকাই এবার মণ্ডপ। যার উচ্চতা প্রায় ১৪৫ ফুট। কলকাতার পুজোর ইতিহাসে যা অবশ্যই নজির। করোনা কাঁটা থাকলেও মাতৃ আরাধনায় বদ্ধপরিকর শ্রীভূমি ক্লাবের পুরোধা রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসু। তবে শারদোৎসব হবে হাইকোর্ট এবং রাজ্য সরকারের বেঁধে দেওয়া বিধি মেনে। 

‘বুর্জ খলিফা’র ভাবনা সুজিত বসুরই। ২০১৯ সালের পুজোয় এই ভাবনাকে বাস্তবায়িত করার কথা ছিল। কিন্তু করোনার কারণে তাঁর এই উদ্যোগ দু’বছর পরে দেখার সুযোগ পাবে কল্লোলিনী তিলোত্তমা। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ৮ অক্টোবর, শুক্রবার। তবে তার আগেই মানুষের উপস্থিতি ও ছবি তোলার ভিড় শুরু হয়েছে মণ্ডপের সামনে।

কেন বুর্জ খলিফার মতো সুউচ্চ অট্টালিকা করার ভাবনা? সুজিত বসুর উত্তর, ‘বহু বছরই দেশের এবং বিদেশের বহু স্থাপত্য করে আমরা নজর কেড়েছি। কেদারনাথ ও জগন্নাথ দেবের মন্দিরের পাশাপাশি শ্রীভূমি স্পোর্টিং তুলে ধরেছে প্যারিস এবং মস্কোর স্থাপত্য। এবার বুর্জ খলিফা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কলকাতার পুজোয় ১৪৫ ফুটের মণ্ডপ এর আগে কোনওদিন হয়নি। 
৬০ ফুটের লোহার একটি স্থায়ী কাঠামো রয়েছে। তার উপরে বাঁশ, ফাইবার, কাঁচ দিয়ে বুর্জ খলিফার অনুকরণে মণ্ডপটি সেজে উঠেছে।

মণ্ডপশিল্পী রোমিও হাজরা। বুর্জ খলিফা দেখতে তিনি দুবাই গিয়েছিলেন।  স্টিল, বাঁশ, ফাইবার, অ্যাক্রেলিক মিররের মাধ্যমে রোমিও দুবাইয়ের স্থাপত্য ফুটিয়ে তুলেছেন কলকাতায়। তাঁর কথায়, ভাবনার বিন্যাস অবশ্যই সুজিত বসুর। বাহুবলী থেকে এই মণ্ডপের দায়িত্ব আমারই কাঁধে। দর্শনার্থীদের চমকে দেওয়াই শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের লক্ষ্য। এবারও তার অন্যথা হবে না। তবে পুজো পাগলরা মণ্ডপের ভিতর ঢুকে আমাদের শিল্প দেখতে পাবেন না। তাই আপশোস তো রয়েইছে।’

সুউচ্চ মণ্ডপটিকে আকর্ষণীয় করে তুলেছে ‘ইন্টেলিজেন্ট লাইটিং’। দায়িত্বে রিয়াজ আহমেদ। সুরের ছন্দে ও তালে আলোর বিচ্ছুরণ চোখ ধাঁধিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। পাশাপাশি চন্দননগরের আলোয় আলোকিত ভিআইপি রোড। মণ্ডপের ভিতর সাবেকি প্রতিমা। শিল্পী প্রদীপ রুদ্র পাল। এই ব্যাপারে সুজিত বসুর মত, ‘আমাদের প্রতিমা সব সময় আকারে বড়। মায়ের গায়ে থাকবে ৪৬ কেজি সোনা। পরনে মাটির শাড়ি। অষ্টমীর দিন ১০ হাজার ভোগ বিতরণ করা হবে। ৫০টি দেশে ইউ টিউবের মাধ্যমে শ্রীভূমির পুজো দেখা যাবে। থিম সং গাইছেন অভিজিৎ। সুরকার জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ক্লাবের পক্ষ থেকে ১০ হাজার ভ্যাকসিন এবং ২৫০টি ক্লাবকে মাস্ক ও স্যানিটাইজার দেওয়া হয়েছে।’ 
 

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Durga Puja 2021, #Sreebhumi sporting club

আরো দেখুন