উত্তরবঙ্গ বিভাগে ফিরে যান

পঞ্চমীতেই ডুয়ার্সের লাটাগুড়ি, ধূপঝোরায় পর্যটকের ঢল নামে

October 11, 2021 | 2 min read

আজ, সোমবার মহাষষ্ঠী। রবিবার পঞ্চমীতেই ডুয়ার্সের লাটাগুড়ি, ধূপঝোরায় পর্যটকের ঢল নামে। স্থানীয় অধিকাংশ হোটেল, হোম স্টে, রিসর্ট মালিকরা জানিয়েছেন, তাঁদের ১০০ শতাংশ বুকিং হয়ে আছে। সোম, মঙ্গলবারের মধ্যে পর্যটকরা চলে আসবেন। লক্ষ্মীপুজোর আগের দিন পর্যন্ত অধিকাংশ হোম স্টে, রিসর্টে রুম ফাঁকা নেই। এতে স্বাভাবিকভাবেই পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে যুক্তরা খুশি। গতবছর করোনার কোপে পুজোর সময় খাঁ খাঁ করছিল ডুয়ার্স। এবার পরিস্থিতি অনুকূলে থাকাতেই পর্যটকরা আসতে শুরু করেছেন। ট্রেন চলছে, বাস পরিষেবাও স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে তাই পর্যটকরা সহজেই আসতে পারছেন বলে জানিয়েছেন ট্যুর অপারেটররা। 


গোরুমারা ট্যুরিজম ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক দেবকমল মিশ্র বলেন, কোভিড-১৯’র কারণে পর্যটন ব্যবসার কোমর ভেঙে গিয়েছিল। মাস খানেক আগেই করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের প্রমাদ আমরা সকলে গুনছিলাম। যাই হোক পরিস্থিতি এখন অনুকূল থাকায় পর্যটকরা শেষ মুহূর্তে বুকিং বাতিল করেননি। তাঁরা আসছেন। তাঁদের আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। অধিকাংশ হোটেল, হোম স্টে-তে রুম খালি নেই। ইতিমধ্যেই ওসবে পর্যটকরা আসতে শুরু করেছেন। আমরা খুব খুশি। সকলেই যাতে কোভিড বিধি মেনে ডুয়ার্স ঘোরেন সেই আবেদন আমরা পর্যটকদের কাছে রাখছি। 


সংগঠনের সভাপতি তজমল হক বলেন, পুজোর ক’দিনের ছুটিতে কমবেশি সকলেই বাইরে বেরিয়ে আসতে চান। ইচ্ছে থাকলেও গতবছর কোভিডের কারণে কেউ বাড়ি থেকে বের হয়নি। লোকজন সতর্ক থাকায় পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। মানুষ আবার বাইরে বেরতে পারছে। আমরা চাই যাঁরাই আসছেন, তাঁরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভ্রমণ করুন। সকলেই যাতে নিরাপদে ঘুরে সুস্থ শরীরে বাড়ি ফিরে যান সেটাই আমরা চাই। এতে করোনা থেকে মুক্তি মিলবে। প্রতিটি হোম স্টে, রিসর্ট, হোটেলে আমরা আগেই জানিয়ে দিয়েছি যাতে সবরকম স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা হয়। পর্যটকরা আসছেন তাই আমরা উৎফুল্ল। করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ে যেভাবে পর্যটন ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, তাতে এই মরশুমে কিছুটা হলেও আমরা অক্সিজেন পাচ্ছি। 

ডুয়ার্স ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট ফোরামের সাধারণ সম্পাদক দিব্যেন্দু দেব বলেন, পুজোতে ডুয়ার্সের কমদামি, লাক্সারি প্রায় সমস্ত রিসর্ট, হোম স্টে’র রুম বুকিং হয়ে আছে। অনেকে এখনও আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন কিন্তু, রুম না থাকায় তাঁদের বাধ্য হয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমরা চাই পরিস্থিতি যাতে অনুকূলেই থাকে। বাতাবাড়ি ফার্ম হাউসের মালিক জিয়াউর রহমান বলেন, আমার রিসর্টে গত সপ্তাহেই পর্যটক এসেছে। লক্ষ্মীপুজো পর্যন্ত কোনও রুম খালি নেই। যেভাবে পর্যটক এবার আসছে তাতে মনে হচ্ছে রেকর্ড ভিড় হবে। লাটাগুড়ির এক হোম স্টে মালিক কমল ছেত্রি বলেন, রুম ফাঁকা নেই। অনেক দিন আগেই সব বুকিং হয়ে গিয়েছে। করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কায় একজন পর্যটক বুকিং বাতিল করলেও ওই জায়গাটিতে অন্য একজনের বুকিং হয়ে গিয়েছে। আমরা রুমের বাইরে হ্যান্ড স্যানিটাইজার রেখেছি। পর্যটকরা যাতে সবরকম স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন, সেই সংক্রান্ত বোর্ড রুমের বাইরে এবং ভেতরে রাখা রয়েছে। 
প্রসঙ্গত, ডুয়ার্সের লাটাগুড়ি ও ধূপঝোরার রিসর্ট, হোম স্টে, হোটেলে থাকা পর্যটকরা মূলত গোরুমারা জঙ্গল সাফারি করতে যান। ওই সাফারিতে জঙ্গলে হাতি, হরিণ, গণ্ডার, বাইসন, ময়ূর সহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখির দেখা মেলে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Panchami, #Tourism, #dooars, #Lataguri

আরো দেখুন