মহাষ্টমীর মঙ্গলারতির পর কুমারী কুমারী পুজো হল ভক্তশূন্য বেলুড় মঠে
সামান্য ঔদাসীন্যেই হতে পারে কাল! ফের বাড়তে পারে করোনা (Coronavirus) সংক্রমণ। এই আশঙ্কায় বেলুড় মঠে এবারও অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করে দুর্গাপুজোর আয়োজন হয়নি। নেই অগণিত ভক্তের ভিড়ও। তবে রীতিতে কোনও ছেদ নেই। মহাষ্টমীতে নিয়ম মেনে বেলুড় মঠে কুমারী পুজোর আয়োজন করা হয়।
চিরাচরিত প্রথা মেনে বেলুড় মঠে বুধবার সকালে মঙ্গলারতির আয়োজন করা হয়। এরপর শুরু হয় মহাষ্টমীর পুজো। সকাল ৯টায় শুরু হয় কুমারী পুজো (Kumari Puja)। এবারের কুমারী বাবা সোমশেখর চক্রবর্তী এবং মা শ্বেতশ্রী চক্রবর্তীর মেয়ে শরণ্যা। সন্ন্যাসীদের কোলে চোপে মণ্ডপে প্রবেশ করে ছোট্ট শরণ্যা। বছর পাঁচেকের ওই কুমারীকে উমা জ্ঞানে পুজো করা হয়। করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে কুমারীর মুখেও ছিল মাস্ক।
বেলুড়ে প্রথম কুমারী পুজো চালু করেন স্বামী বিবেকানন্দ (Swami Vivekananda)৷ ১৯০১ সালে মা সারদার উপস্থিতিতে শঙ্খ, বাদ্য, অর্ঘ, বলয় ও বস্ত্রাদি সহযোগে ৯ জন কুমারীকে পুজো করেছিলেন তিনি৷ সেই থেকেই এই পুজো নিষ্ঠা সহকারে পালন করে চলেছে বেলুড় মঠ কর্তৃপক্ষ৷
অন্যান্য বছর অষ্টমীতে বেলুড় মঠে ভিড় জমান অগণিত ভক্ত। কুমারী পুজো দেখেন তাঁরা। তবে করোনার জেরে গত দু’বছর ধরে কুমারী পুজোয় বেলুড় মঠে দর্শকদের প্রবেশ নিষেধ। বেলুড়ের পাশাপাশি প্রায় সর্বত্রই অষ্টমীর পুজো (Durga Puja 2021) চলছে। নতুন শাড়ি এবং পাঞ্জাবি পরে মণ্ডপে মণ্ডপে অঞ্জলি দেওয়ার জন্য জড়ো হয়েছেন অনেকেই। যদিও কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশ অনুযায়ী, কোভিড ভ্যাকসিনের জোড়া টিকা যাঁদের নেওয়া রয়েছে তাঁরাই অঞ্জলিতে অংশ নিতে পারবেন। দশমীতে সিঁদুরখেলার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য একই শর্ত।