ফের পিছল লক্ষ্যমাত্রা পূরণের সময়সীমা, নভেম্বরে ১০০ কোটি টিকা প্রদান সম্পন্ন করতে চায় কেন্দ্র
উৎসবের মরশুমে আবার বাড়ছে করোনাভাইরাস। যা প্রতিরোধ করতে প্রয়োজন টিকা এবং সতর্কতা। তাই কেন্দ্রীয় সরকারের লক্ষ্য দ্রুত ১০০ কোটি মানুষের টিকাকরণ সম্পন্ন করা। আগামী ১৮–১৯ নভেম্বরের মধ্যেই তা ছুঁতে চাইছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। তার জন্য ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। ২০২২ সালের মার্চ মাসের মধ্যেই দেশের সমস্ত প্রাপ্তবয়স্কদের টিকাকরণ দেওয়া সম্ভব হবে বলে মনে করছেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য নিজে ফোন করে কথা বলেছেন রাজ্যগুলির সঙ্গে বলে সূত্রের খবর। এই লক্ষ্যমাত্রা যদি ছোঁয়া যায় তাহলে কোভিড–১৯ সংক্রমণ থেকে অনেকটা রেহাই মিলবে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে খবর, এখনও রাজ্যগুলির হাতে ৮ কোটি টিকা রয়েছে। আর অক্টোবর মাসেই ২২ কোটি কোভিশিল্ড, ৬ কোটি কোভ্যাকসিন এবং ৬০ লক্ষ জাইকোভিড সরকারের হাতে আসতে চলেছে। তাই মার্চ মাসের মধ্যেই দেশের সমস্ত প্রাপ্তবয়ষ্কদের টিকাকরণের কাজ শেষ হবে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
এখন দেশের সর্বত্র টিকাকরণের গতি একটু কমেছে। কারণ প্রত্যেক রাজ্যেই কিছু না কিছু উৎসব রয়েছে। তাই টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে মানুষের মধ্যে এখন একটু অসুবিধা রযেছে। তবে উৎসব–পর্ব মিটে গেলেই ফের টিকাকরণে জোর দেওয়া হবে। বাচ্চাদের টিকাকরণ নিয়েও ভাবা হচ্ছে। স্কুল খোলার কথা ভাবা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে টিকাকরণে জোর দিতেই হবে।
দেশের মানুষের টিকাকরণ ১০০ কোটি পেরলেই তারপর টিকা রফতানি করা হবে। অন্যান্য দেশকে টিকা দিয়ে সাহায্য করা হবে বলে খবর। ইতিমধ্যেই একটা বড় অংশের মানুষকে টিকা দেওয়া গিয়েছে। দেশের সর্বত্রই সেই ছবি মিলেছে বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে খবর। এবার ১০০ কোটি স্পর্শের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে নামা হচ্ছে বলেও জানা গিয়েছে।