জনস্রোত কমাতে বুর্জ খলিফার আলো বন্ধ করল শ্রীভূমি স্পোর্টিং
ভিড়ের চাপ বন্ধ হল বুর্জ খালিফার আলো। সপ্তমীর রাতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল শ্রীভূমি স্পোর্টিংয়ের মণ্ডপের মোহময়ী লেজার শো। আর বুধবার অষ্টমীর রাতে রাশ টানা হল আলোতে। এদিনও দর্শনার্থীদের চাপে ভিআইপি রোড কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। একাধিক বাস এবং অটো রুট ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। সন্ধের পর কার্যত জনস্রোত বয়ে যায় শ্রীভূমির মণ্ডপের সামনে। সেই কারণেই আপাতত আলো বন্ধের সিদ্ধান্ত।
এবারের পুজোয় যেন সব আকর্ষণ টেনে নিয়েছে শ্রীভূমি। যে কারণে যাত্রীদের নিয়ে ওই রুটেই ছুটছে অন্য রুটের বাসও। কী সরকারি, কী বেসরকারি! সকালের প্রথম বাস থেকে নৈশ পরিষেবার সরকারি বাস। মানুষের ভিড় দেখে বেশিরভাগ গাড়িই পুজোর দিনগুলোয় ছুঁয়ে যাচ্ছে লেকটাউন। বেসরকারি বাসে তো রীতিমতো ‘বুর্জ খলিফা যাইবে’ বলে বাসের গায়ে পোস্টার সাঁটিয়ে দেওয়া হয়েছে। বহু বাসই নিজের রুট বদলে লেকটাউন হয়ে অন্যদিকে যেতে চইছে। এদিকে আর এই ভিড় দেখেই ওই রুটেই বাস বাড়িয়েছে মালিকরা। তাঁদের বক্তব্য, অন্যান্য দিকে সেভাবে যাত্রী হচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়েই রুট বদলানো হয়েছে।
যাত্রীদের সুবিধার্থে নাইট সার্ভিস চালু করেছিল রাজ্য পরিবহণ দপ্তর। শহরের ১৪টি রুটে চালানো হচ্ছিল সেই বাস। তার মধ্যে গোটা চারেক রুটের এয়ারপোর্ট যাওয়ার কথা। কিন্তু পঞ্চমীর পরই দেখা যায়, অন্যদিকের বাসে তেমন ভিড় না হলেও এয়ারপোর্টগামী সমস্ত বাসেই উপচে পড়া ভিড়। শুধু হাওড়া বা শিয়ালদহ থেকেই নয়! শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেই যাত্রীরা এয়ারপোর্টের দিকের বাসে চড়ছেন। তাই শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এয়ারপোর্টের দিকের বাস বাড়ানো হয়। জোকা, বেহালা, গড়িয়া, সল্টলেক, সবদিক থেকেই এসি, নন এসি বাস ছুটেছে এয়ারপোর্টের দিকে। লেকটাউন এসেছে আর বাস ফাঁকা হয়েছে।
শহরের উত্তর থেকে দক্ষিণ- দর্শনার্থীদের যাতায়াতের সুবিধায় পরিবহণ দপ্তরের তরফে প্রচুর সংখ্যক বাস রাস্তায় নামানো হয়েছিল। ফলে যারা বাসে চড়েই এক মণ্ডপ থেকে অন্য মণ্ডপে যাবে ভেবেছিলেন, তাঁদের বিশেষ সমস্যা হয় না। রাস্তায় নেমেছিল প্রচুর বেসরকারি বাস-মিনিবাসও। যদিও বাসমালিকদের দাবি, লেকটাউনের দিকে যাওয়ার চাহিদাই ছিল যাত্রীদের বেশি। কিন্তু সব বাস তো আর একই দিকে ছুটবে না। তাই কিছু বাস এয়ারপোর্টের দিকে না গিয়ে উল্টোডাঙা হয়ে অন্যদিকে ঘুরে গিয়েছে। সেগুলোতেও ছিল উপচে পড়া ভিড়।