বৈশাখীর সিঁথিতে শোভনের সিঁদুর! ছবি ভাইরাল নেটদুনিয়ায়
বৈশাখীর সিঁথি ভরিয়ে দিলেন শোভন! একটি ভাইরাল ছবিকে কেন্দ্র করে উত্তাল সোশ্যাল মিডিয়া। ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে বিজয়া দশমীতে দুর্গা প্রতিমার সামনে বৈশাখীর সিঁথিতে সিঁদুর দিয়ে দিচ্ছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। প্রথমে গুঞ্জন উঠেছিল, ছবিটি ভুয়ো। কিন্তু, পরে সংবাদ মাধ্যমের তরফে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘এই ছবিটি আসল।’
তাঁর কথায়, দশমীর দিনে একটি বেসরকারি চ্যানেলের আয়োজিত বিজয়ার অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন তাঁরা। সেখানেই এই ছবিটি ফ্রেমবন্দি হয়। এদিন শোভন চট্টোপাধ্যায়ের পরনে ছিল নীল পাঞ্জাবি, বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরনে ছিল নীল শাড়ি। ফুলের মালা দিয়ে খোঁপা বেঁধেছিলেন তিনি। সাজগোজে ছিল সাবেকিয়ানার ছাপ।
এদিন তাঁদের বেশ কয়কেটি ছবি ভাইরাল হয়। যেখানে দেখা যায় বৈশাখীর গালে সিঁদুর লাগিয়ে দিচ্ছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু, আরেকটি ভাইরাল ছবিতে চোখ আটকেছে নেটিজেনদের। সেখানে দেখা যাচ্ছে অল্প মাথা নুঁইয়ে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। হাতে আরতির থালা। শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সিঁদুর ভরা হাত রাখা বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিঁথিতে। নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে কোনও দিন রাখঢাক করেননি শোভন-বৈশাখী। বরাবর বলে এসেছেন, তাঁরা একে অপরের পরিপূরক। তবে কবে তাঁরা বিয়ে করবেন, এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘তা সময় বলবে।’ এদিকে শোভন-পত্নী রত্নার হুঙ্কার, তিনি কোনওদিন শোভন চট্টোপাধ্যায়কে ডিভোর্স দেবেন না।
দশমীর দিনই তিনি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘ওঁরা যা পারছে করছে। কিন্তু, ভুলে যাচ্ছে দেশে এখনও আইন রয়েছে। শোভন আইনত এখনও আমার স্বামী। দুর্গা প্রতিমার পেছনে একটা বাঁশ থাকে । আমি সেই বাঁশ। ওঁরা বিয়ের কথা ভাবুক, তারপর আমি দেখছি, আইনত সব পদক্ষেপ নেব।’এখানেই শেষ নয়, তিনি আরও বলেন, ‘পুজোর সময় ফোন করে শোভন একবারও ছেলে-মেয়ের খোঁজ পর্যন্ত নেননি। শুধু পুজো নয়, জন্মদিনে পর্যন্ত ওঁদের একটিবার শুভেচ্ছা জানায় না।’ যদিও এই মন্তব্য ছবিটি ভাইরাল হওয়ার আগে করেছিলেন রত্না চট্টোপাধ্যায়।