শান্তিপুর-দিনহাটার সংগঠনে চওড়া ভাঙন, আসন্ন উপনির্বাচনে জয় নিয়ে চিন্তায় বিজেপি
পুজো শেষ হলেই ৩০ অক্টোবর খড়দহ, শান্তিপুর, গোসাবা ও দিনহাটা-এই চার কেন্দ্রের উপনির্বাচন। যার মধ্যে শান্তিপুর ও দিনহাটা এই দুটি বিজেপির জেতা আসন। আর এই দুটি আসন উপনির্বাচনে ধরে রাখা যাবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে বিজেপির অন্দরে। বাকি দুটি আসন খড়দহ ও গোসাবা নিয়ে খুব একটা আশা না থাকলেও দিনহাটা ও শান্তিপুরে গত বিধানসভায় জয় পাওয়ায় এবার উপনির্বাচনে লড়াই হবে বলে মনে করছে বিজেপি। সেই জয় সহজে আসবে না বলেই মনে করছে রাজ্য নেতাদের একাংশ।
শান্তিপুর ও দিনহাটা এই দুটি আসন প্রেস্টিজ ফাইট হিসাবেই দেখছে মুরলীধর সেন লেনের কর্তারা। দিনহাটা কেন্দ্রে বিজেপি তাদের প্রার্থী করেছে তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক অশোক মণ্ডলকে। দিনহাটা কেন্দ্রে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে সামান্য ভোটে কোনওভাবে জিতেছিলেন নিশীথ প্রামাণিক। কিন্তু তিনি বিধায়ক পদ ছেড়ে দেন। ফলে সাত মাসের মধ্যেই এই আসনে উপনির্বাচন হচ্ছে। বর্তমানে নিশীথ প্রামাণিক কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র রাষ্ট্রমন্ত্রী।
দিনহাটাতে ভোটের দায়িত্ব নিশীথকেই দিয়েছে গেরুয়া শিবির। জেতা আসন হাতছাড়া করতে চায় না তারা। এই কেন্দ্রের ভোট পর্যবেক্ষক করা হয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিককে। সহ পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব সামলাবেন আরও এক সাংসদ জয়ন্তকুমার রায়। দিনহাটার নির্বাচনী কমিটির ইনচার্জ হয়েছেন দীপেন প্রামাণিক। কো-ইনচার্জের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ১০ জনকে। এঁদের মধ্যে ৮ জনই বিধায়ক। শান্তিপুর থেকে জিতে বিজেপির বিধায়ক হয়েছিলেন সাংসদ জগন্নাথ সরকার। তিনিও বিধায়ক পদ ছেড়ে দিয়েছিলেন। ফলে এই কেন্দ্রেও উপনির্বাচন হচ্ছে। এখানে গেরুয়া প্রার্থী নিরঞ্জন বিশ্বাস।
বিজেপির তরফে এই শান্তিপুর কেন্দ্রের নির্বাচনী পর্যবেক্ষক করা হয়েছে সাংসদ জগন্নাথ সরকারকেই। কিন্তু শান্তিপুরে দলের সংগঠন চিন্তায় রাখছে বিজেপিকে। শান্তিপুর শহর বিজেপির সভাপতি দল ছেড়ে সম্প্রতি তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। আবার বাবলা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় অনেক বিজেপি কর্মী-সমর্থক তৃণমূলে যোগদান করেছেন। ফলে আসন্ন উপনির্বাচনে শান্তিপুর বিধানসভা কেন্দ্রেও জয়ের পথে কাঁটা সংগঠনে ভাঙন। এমনটাই মনে করছে দলের একাংশ।