বৈশাখীর সিঁথিতে শোভনের সিঁদুরদান আদতে বেলেল্লাপনা, বাবার বিরুদ্ধে মন্তব্য পুত্রের
দশমীতে অকপট স্বীকারোক্তি বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের, ‘শোভন আমার সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দিল…’। তাঁদের ভাইরাল ছবি নিয়ে তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া। এরপরেই শোভনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন শ্বশুর দুলাল দাস। এবার বাবার বিরুদ্ধে মুখ খুললেন শোভন পুত্র ঋষি চট্টোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘ওঁরা চেষ্টা করছেন সম্পর্কটাকে রোমান্টিকভাবে উপস্থাপন করতে। কিন্তু, আদতে তাঁরা বেলেল্লাপনা করে বেড়াচ্ছেন। ‘
বিতর্কের সূত্রপাত দশমীতে শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি ভাইরাল ছবিকে কেন্দ্র করে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দিচ্ছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। ছবিটি মুহূর্তে ভাইরাল হয়। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছিল ছবিটি ভুয়ো। কিন্তু, বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এই ছবিটি আসল। দশমীর দিনে একটি বেসরকারি বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমের বিজয়া দশমীর অনুষ্ঠানে ফ্রেমবন্দি হন তাঁরা। এরপর থেকেই শুরু তোলপাড়।
এবার ভাইরাল এই ছবি নিয়ে মুখ খুললেন শোভনপুত্র। তিনি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘সিঁদুর খেলা দুর্গাপুজোয় হতেই পারে। কিন্তু, আমার একটা প্রশ্ন রয়েছে। আমাদের দেশে শরিয়ত আইন মানা হয় না। দুর্গাপুজো হিন্দুদের উৎসব। আইনত যখন শোভন চট্টোপাধ্যায় বিবাহিত, তখন তিনি কী করে এমন একজনের সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দেন যিনি অন্যের স্ত্রী এবং তাঁরও বিবাহ বিচ্ছেদ হয়নি’!
এখানেই শেষ নয়, ঋষি আরও বলেন, ‘শোভন চট্টোপাধ্যায় স্নান করে বেরোনোর পর কালী পুজো করেন। তিনি যখন হিন্দু ধর্ম মানেন, তখন এত বড় আইন কী করে ভাঙেন! দুর্গাপুজোয় মহিলাকে সর্বোচ্চ শক্তি হিসেবে আরাধনা করা হয়। আমরা বলি, সব মহিলার মধ্যে দুর্গা রয়েছেন। আজ তিনি দুর্গাপুজোয় নিজের স্ত্রীকে অপমান করে অন্যের স্ত্রীকে সিঁদুর পরিয়ে দিচ্ছেন। ইসলামেও বলা হয়েছে যদি আপনি দ্বিতীয় বিয়ে করতে চান তাহলে প্রথম স্ত্রীর অনুমতি প্রয়োজন। কিন্তু, এখানে তো উনি বেলেল্লাপনা করে বেড়াচ্ছেন।
মিডিয়ার সামনে তা তা থৈ থৈ করে নাচা হচ্ছে, তাঁরা সব কিছু রোমান্টিকভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করছেন। কিন্তু, এতবড় আইন ভঙ্গ হল, সমাজের মানুষজনের কি প্রশ্ন তোলা উচিত নয়? শোভন চট্টোপাধ্যায় কোনও সাধারণ ব্যক্তিত্ব নন। তিনি কলকাতার মেয়র থাকাকালীন মন্ত্রিত্ব সামলেছেন। ওঁর বাড়ি থেকে সোনিয়া গান্ধীর বাড়ি পর্যন্ত শাড়ি যেত। আমার উত্তর চাই, শোভন চট্টোপাধ্যায় ধার্মিক বিষয় নিয়ে কেন খেলছেন? এবার দেশের মানুষের কাছে তাঁকে উত্তর দিতে হবে।’ সমাজের মানুষের কাছে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে জবাব দিতে হবে, দাবি ঋষির। মোটের উপর এই ভাইরাল ছবি নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তাঁর বক্তব্য, ‘এভাবে অন্যের স্ত্রীকে সিঁদুর পরিয়ে দেওয়া হিন্দু আইন বিরুদ্ধ’।