রক্ষিতার বাড়িতে আশ্রিতা হয়ে আছেন কেন, সিঁদুর বিতর্কে রত্নাকে পাল্টা বৈশাখীর
দশমীর সন্ধ্যায় বৈশাখীর সিঁথিতে শোভনের সিঁদুর দেওয়া নিয়ে জুটিকে আগেই বিঁধেছেন রত্না চট্টোপাধ্যায়। এ বার পাল্টা জবাব দিলেন বৈশাখী। তিনি বললেন, ‘‘ওর (রত্নার) বাণীগুলো শুনলাম। কিন্তু আমি কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে রাজি নই। কারণ, আমার জীবনে ওর কোনও অস্তিত্বই নেই।’’
এর আগে বৈশাখীকে ‘রক্ষিতা’ বলেও কটাক্ষ করেছেন রত্না। তাঁর কথায়, ‘‘হিন্দু বিবাহ আইন অনুযায়ী আমি এখনও শোভনের স্ত্রী। তাই ও অন্য কাউকে সিঁদুর পরাতে পারে না। স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও যদি কেউ অন্য কোনও স্ত্রীলোকের সঙ্গে থাকে, তাহলে ওই স্ত্রীলোককে সমাজ ‘রক্ষিতা’ বলে। রক্ষিতাকে সিঁদুর পরালেই সে স্ত্রী হয়ে যায় না।’’ এর পরই পাল্টা জবাবে বৈশাখী বললেন, ‘‘শোভন চাইলে প্রতিক্রিয়া দিতে পারেন। আমি দেব না। ও (রত্না) বেঁচেই থাকে আমার নাম করে। ওটা আমাদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। এখানে কারও কিছু বলার থাকতে পারে না।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘‘এটা আমার আর শোভনের সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত বিষয়। শোভন যা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা শোভনের। আমি যা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তা আমার। আর এই সম্পর্কটা গুরুত্বপূর্ণ না হলে শোভন এটাকে স্বীকৃতি দিত না। কোনটা গুরুত্বপূর্ণ আর কোনটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, তা সমাজ ঠিক করে দেবে না। অনেক রাজনীতিকেরই বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে। শোভনের বেলায় কেন এত কাদা ছোড়াছুড়ি? মনোজিৎকে যে দিন আমি মন থেকে মুছে ফেলেছি, সে দিনই আমাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে। খাতায় কলমে কী রইল, তা নিয়ে ভাবিত নই।’’
‘রক্ষিতা’ মন্তব্য নিয়েও রত্নাকে কটাক্ষ করে বৈশাখী বলেন, ‘‘ও (রত্না) এখন যে বাড়িতে থাকেন, সেটা তো আমি কিনে নিয়েছি। রক্ষিতার বাড়িতে আশ্রিতা হয়ে আছেন কেন? এখন তো ছুটি চলছে। ছুটি মিটলেই বাড়ি ছাড়ার নোটিস পাঠাব।’’
রত্নার পাশাপাশি বৈশাখী-শোভনকে বিঁধেছেন শোভনের শ্বশুর মশাই তথা মহেশতলার বিধায়ক দুলাল দাসও। সিঁদুর পরানোর বিষয়টিকে ‘ব্যাভিচার’ বলে কটাক্ষ করেছেন তিনি। এর জবাবেও বৈশাখী বলেন, ‘‘দুলালবাবু আগেও এই ধরনের মন্তব্য করেছেন। তখন শোভন চিঠি পাঠিয়েছিল। আবার কেন বলছেন এ সব? ’’