বঙ্গতনয়া তথা প্রেক্ষাগৃহের কর্ণধার বিদিশা বসুর হাত ধরে ঘুরে দাঁড়াল প্রাচী
উৎসবের মরসুমে নতুন সাজে খুলে গেল উত্তর কলকাতার পুরনো সময়ের সাক্ষী সিঙ্গেল স্ক্রিনের প্রেক্ষাগৃহ প্রাচী। একের পর এক পুরনো প্রেক্ষাগৃহ যখন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, তখন বঙ্গতনয়া তথা প্রেক্ষাগৃহের কর্ণধার বিদিশা বসুর হাত ধরে ঘুরে দাঁড়াল প্রাচী। ইচ্ছে এবং চেষ্টা থাকলেই অসাধ্যসাধন যে করা যায় তা ফের প্রমাণ করে দিলেন এই বঙ্গতনয়া।
আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল প্রাচী প্রেক্ষাগৃহ। সিনেমা হলের ছাদ ভেঙ্গে পড়েছিল। বহু পুরনো হওয়ায় ঝাপসা হয়ে গিয়েছিল ছবি দেখানোর পর্দাও। এরই মাঝে চলে আসে করোনার জন্য লকডাউন। বন্ধ হয়ে যায় সিনেমা হল। আর এই সময়টাকেই প্রেক্ষাগৃহে শ্রী ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য বেছে নেন বিদিশা বসু।
এখন প্রাচীর সিঁড়িতে পাতা উজ্জ্বল লাল গালিচা। নতুন আরামদায়ক লাল গদি মোড়া আসন। তাতে প্রাচী সিনেমা হলে লোগো দেওয়া। পুরনো স্ক্রিন বদলে সেখানে টাঙানো নতুন পর্দা। বিদিশা জানিয়েছেন, ‘দর্শকেরা আর ঝাপসা নয় ঝকঝকে ছবি দেখতে পাচ্ছেন। একইসঙ্গে পর্দার সামনের লাল গালিচায় মোড়া। এছাড়া, প্রেক্ষাগৃহটি এখন সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত।
বিদিশা জানিয়েছেন চারটি শো চলছে। তবে প্রতি সপ্তাহে শো-এর সময় বদলাচ্ছে। আপাতত সকাল সাড়ে এগারোটা, দুপুর দুটো, বিকেল সাড়ে চারটে, সন্ধ্যা পৌনে সাতটায় দেখানো হচ্ছে ছবি । তবে পাশাপাশি বসে ছবি দেখতে পারবেন না, কারণ সেখানে কাঁটা করোনাবিধি। তাই কোভিড বিধি মেনেই আপাতত দর্শকদের বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এমনকি সংক্রমণের কথা মাথায় রেখেই প্রতিটি শো এর আগে ও পরে প্রেক্ষাগৃহ স্যানিটারি করা হচ্ছে। এখন আপনি ইচ্ছা করলেই অনলাইনে টিকিট বুকিং করতে পারেন, আসতে হবে না হলে। মোবাইলের সেই টিকিট দেখিয়েই দিব্যি প্রবেশ করা যাচ্ছে হলে। প্রাচীর এই নতুন করে পথ চলা কে সাধুবাদ জানিয়েছেন সিনেমার প্রযোজক-পরিচালক-কলাকুশলী থেকে দর্শকরা সবাই।