বিজয়ার শুভেচ্ছা জানাতে দুয়ারে মন্ত্রী, আপ্লুত পূর্বস্থলী দক্ষিণ
নেই কোনও কনভয়। নেই নিরাপত্তা বেষ্টনী। কাঁধে হ্যান্ডমাইক। একাই সাইকেল চালিয়ে শুভ বিজয়ার শুভেচ্ছা জানাতে পাড়ায় পাড়ায় পৌঁছে গেলেন পূর্বস্থলী দক্ষিণ বিধানসভার বিধায়ক তথা মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। বাড়ির দুয়ারে মন্ত্রীর শুভেচ্ছা পেয়ে উচ্ছ্বসিত এলাকার বাসিন্দারা। তবে শুধুমাত্র একদিন নয়, রাস উৎসব পর্যন্ত তাঁর বিধানসভা এলাকায় এভাবেই বিজয়া দশমী, ছটপুজো, জগদ্ধাত্রী পুজো ও রাস উৎসবের অভিনন্দন, শুভেচ্ছা জানাবেন তিনি।
এলাকায় থাকলে জনসংযোগের জন্য বিভিন্ন জায়গায় এমনিতেই ঘুরে বেড়ান পূর্বস্থলী দক্ষিণ বিধানসভার বিধায়ক তথা মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। তাঁর বিধানসভার মধ্যে পূর্বস্থলী-১ ব্লকের পাঁচটি ও কালনা-১ ব্লকের ছ’টি পঞ্চায়েত রয়েছে। প্রতি বছরই দশমীর পর এলাকায় এলাকায় ঘুরে বিজয়া দশমীর শুভেচ্ছা জানান বাসিন্দাদের। বয়স সত্তর পেরিয়েছে। হাই সুগার। তাতেও অবশ্য দমে যাননি। এবার বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছতে কিনে ফেলেন ব্যাটারি চালিত একটি সাইকেল। রবিবার সকালে সেই সাইকেল নিয়ে কাঁধে হ্যান্ডমাইক ঝুলিয়ে বাসিন্দাদের বিজয়ার শুভেচ্ছা জানাতে বেরিয়ে পড়েন। এদিন হেমাতপুর, উত্তর, দক্ষিণ ও মধ্য শ্রীরামপুর এলাকায় সাইকেলে হাজির হন তিনি। কখনও বারোয়ারি তলায় থাকা মানুষদের শুভেচ্ছা জানানো, কখনও বাড়ির দুয়ারে দাঁড়িয়ে হাত জোর করে শুভেচ্ছা জানানোর সঙ্গে লাড্ডু ও মাস্ক তুলে দেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের দিকগুলিও মানুষকে বোঝান। পাশাপাশি করোনা ও ডেঙ্গু নিয়ে সচেতন করেন বাসিন্দাদের। এদিন যেখানেই তিনি গিয়েছেন, মানুষের উচ্ছ্বাস দেখা গিয়েছে।হেমাতপুরের বাসিন্দা সন্ধ্যা সিংহ, রীনা দাস, রেণুকা দে বলেন, স্বপনবাবুকে আপদে বিপদে সবসময় পাই। এলাকার রাস্তাঘাট, পানীয় জল ও অন্যান্য সমস্যায় সবসময় খেয়াল রাখেন। যেখানে ওঁর কাছে গিয়ে আমাদের কৃতজ্ঞতা জানানো দরকার, সেখানে উনি নিজে এসে আমাদের শুভেচ্ছা জানানো ও লাড্ডু খাইয়েছেন। পাশাপাশি করোনা, ডেঙ্গু নিয়ে সচেতন করলেন। মন্ত্রী হয়ে বাড়ির দুয়ারে এসে এমন অভ্যর্থনা ভাবাই যায় না। আমরা ওঁর কাছে কৃতজ্ঞ। ওঁর দীর্ঘায়ু কামনা করি।
স্বপনবাবু বলেন, মানুষের কাছে গিয়ে তাঁদের সঙ্গে মিলেমিশে খোলা আলোচনা ও ভাব বিনিময় করার সবসময় চেষ্টা করি। হেঁটে মানুষের কাছে পৌঁছই। বয়স হয়েছে বলে সাইকেলে চড়ে বেশি সংখ্যক মানুষকে শুভেচ্ছা জানানোর লক্ষ্যে কর্মসূচি নিয়েছি। করোনা ও ডেঙ্গু নিয়ে মানুষকে সচেতন থাকার বার্তা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে বিজয়া দশমী উপলক্ষে বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভার বিধায়ক খোকন দাস এক অভিনব উদ্যোগ নিয়েছেন। বর্ধমান শহরের প্রায় সাত হাজার প্রবীণ ও প্রবীণাদের বাড়িতে বিজয়ার শুভেচ্ছা বার্তা চিঠি ও মিষ্টির প্যাকেট পৌঁছে দিচ্ছেন তিনি। বিধায়ক বলেন, বিজয়া মানেই সৌজন্য বিনিময়ের পালা। সেই ছোট থেকে গুরুজনদের প্রণাম করার রেওয়াজ আমরা পালন করি। আমার বিধানসভায় যত প্রবীণ মানুষ আছেন, সকলের জন্য বিজয়ার শুভেচ্ছাবার্তার চিঠি ও মিষ্টির প্যাকেট পাঠানো হচ্ছে। সকলের সঙ্গে দেখা হবে না, তাই ফোনালাপ চলবে। কোনও রাজনৈতিক রং দেখা হবে না। ষাটোর্ধ্ব প্রত্যেক প্রবীণদের জন্য এই ব্যবস্থা করা হচ্ছে।