প্রত্যন্ত গ্রামের কাজেও স্বচ্ছতা আনতে ‘পাড়া বৈঠক’ এর উদ্যোগ রাজ্যের
![](https://drishtibhongi.in/wp-content/uploads/2021/10/1606415034_5fbff2bae5a14_road-construction.jpg)
গ্রামের কোথায় সমস্যা? উন্নয়নের কাজ কোথায় প্রয়োজন? এই সব প্রশ্নেরই উত্তর মেলে ‘পাড়া বৈঠকে’। সেখানেই হয় প্রাথমিক পরিকল্পনা। আর তার উপর ভিত্তি করে গ্রাম পঞ্চায়েত ডেভেলপমেন্ট প্ল্যান। কিন্তু কাজ সত্যিই কতটা হচ্ছে, ৩ হাজার ২২৯টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে তার খুঁটিনাটি খতিয়ে দেখাটাই পাহাড়প্রমাণ চ্যালেঞ্জ। সেই বাধা দূর করতে এবং প্রত্যন্ত গ্রামের কাজেও স্বচ্ছতা আনতে ‘পাড়া বৈঠক’কেই হাতিয়ার করল রাজ্য সরকার। এবার থেকে বৈঠকের উপর সরাসরি নজর দেবে পঞ্চায়েত দপ্তর। স্থির হয়েছে, এই বৈঠকে উঠে আসা তথ্য ও আলোচনা সরাসরি তুলতে হবে নির্দিষ্ট পোর্টালে। আর এই কাজ করতে হবে রাজ্যের সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েতকে। এই পদক্ষেপ সম্পূর্ণভাবে কার্যকর হলে দপ্তরের আধিকারিকরাও দেখতে ও জানতে পারবেন এলাকার সমস্যা। নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, ২০২২-২৩ সালের পঞ্চায়েত ভিত্তিক এই পরিকল্পনা তৈরির কাজ এখনই শুরু করতে হবে।
সম্প্রতি গ্রাম পঞ্চায়েত উন্নয়ন পরিকল্পনা সংক্রান্ত এক নির্দেশিকা জারি করে ‘পাড়া বৈঠকে’র বিষয়ে সুস্পষ্ট গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে। একটি পঞ্চায়েতের বিভিন্ন গ্রামের আনাচে কানাচে কতজন বসবাস করেন, তাঁদের মতামত কী, সেটাও এক্ষেত্রে প্রয়োজন বলে মনে করছেন দপ্তরের কর্তারা। সেই কারণে ‘পাড়া বৈঠক’ গুরুত্বপূর্ণ। ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রত্যেক গ্রাম পঞ্চায়েতকে ‘প্ল্যানিং ফেসিলিটেশন টিম’ গঠন করতে হবে। এই দলের সদস্যরা পাঁচ-সাতজন করে ভাগ হয়ে আয়োজন করবেন পাড়া বৈঠকের। গ্রাম পঞ্চায়েতের উন্নয়ন পরিকল্পনার সময় তফসিলি জাতি-উপজাতি, অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি এবং মহিলাদের বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। পাড়া বৈঠকের দিনক্ষণ আগাম আগাম জানাতে হবে সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতকে। জেলার এক বিডিও বলেন, অনেক সময় দেখা গিয়েছে, এই পাড়া বৈঠকে যতজনের থাকার কথা, সেই সংখ্যা নেই। আবার এমনও হয়েছে, কেউ জানতে পারল না, অথচ বৈঠক হয়ে গেল। এবার আর সেটা করা যাবে না। বৈঠকে কতজন এলেন, কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, সবই পোর্টালে তুলতে হবে। দপ্তরের আধিকারিকরা সবটাই অফিসে বসে নজর রাখবেন। এছাড়াও উন্নয়নমূলক কাজের প্রয়োজন ঠিক কতটা, সেটাও পোর্টালে আপলোডের পর দেখে নিতে পারবেন অফিসাররা। পাড়া বৈঠকের কর্মকাণ্ড পরীক্ষামূলকভাবে পোর্টালে আপলোড করার জন্য প্রথমে ২৫টি গ্রাম পঞ্চায়েত বেছে নেওয়া হয়েছিল। পাইলট প্রজেক্ট সফল হওয়ায় এবার তা বাকি পঞ্চায়েতেও কার্যকর করা হবে বলে নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে।