হচ্ছে টা কী? বিভাগে ফিরে যান

বাবুল অস্ত্রে শিশির-বধ করতে চায় তৃণমূল?

October 19, 2021 | < 1 min read

শনিবার তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দলবদলের পর বলেছেন, বড় সুযোগ পেয়েছি। বাংলার জন্য কিছু করার জন্যই রাজনীতিতে ফেরা। এ বার লাখ টাকার প্রশ্ন, কী সেই সুযোগ?

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, রাজ্যসভায় অর্পিতার ছেড়ে আসা আসনে পাঠানো হতে পারে আসানসোলের সাংসদকে। দিন কয়েক আগেই আচমকা রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন অর্পিতা ঘোষ। এ ছাড়া বাবুলের সর্বভারতীয় পরিচিত রয়েছে। ভিন রাজ্যে তৃণমূলের সংগঠন বিস্তারের কাজেও লাগানো হতে পারে তাঁকে। বাবুল অবশ্য স্পষ্ট করে কিছু বললে চাননি ভবিষ্যতে কী ভূমিকায় দেখা যাবে তাঁকে।

বাবুল তৃণমূলে যোগদানের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ঘোষণা করে দিয়েছেন, সাংসদ পদ ছাড়বেন। এই ঘোষণা তৃণমূলের হাতে নতুন অস্ত্র তুলে দিয়েছে। কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী এবং তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীর সাংসদ পদ খারিজে চাপ বাড়াবে তৃণমূল।

কাঁথি এবং তমলুকের দুই সাংসদ এ বার লোকসভার বাদল অধিবেশনে যোগ দেননি। ২০২১-এর বিধানসভা ভোটের আগে তাঁদের গতিবিধি নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়ে বিজেপি সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াচ্ছিলেন তাঁরা। কাঁথিতে অমিত শাহের সভামঞ্চে শিশিরকে দেখা গিয়েছিল। আবার হলদিয়ায় প্রধানমন্ত্রীর একটি সরকারি কর্মসূচির মঞ্চে হাজির ছিলেন দিব্যেন্দু।

অমিতের সভায় যোগদানের ছবি দেখিয়ে শিশিরের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই লোকসভার স্পিকারকে চিঠি লিখেছে তৃণমূল। দিব্যেন্দুর বিরুদ্ধে তেমনটা করতে পারেনি রাজ্যের শাসকদল। দিব্যেন্দু অবশ্য বিজেপি ঘনিষ্ঠতার কথা মানতে চাননি। তিনি একটি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, আমি এবং বাবা (শিশির)— দু’জনেই তৃণমূলে আছি। অন্য কোনও দলে যাইনি। যাওয়ার প্রশ্নও নেই।

ইতিমধ্যেই পূর্ব ঘোষণা মত দিল্লি গিয়ে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন বাবুল। দলবদলের কয়েকদিনের মধ্যে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হল কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী এবং তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীকে। এই দুজনের সাংসদ পদ খারিজের জন্য নয়া অস্ত্র হাতে পেল তৃণমূল।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Babul Supriyo, #Sisir Adhikari, #Dibyendu Adhikari

আরো দেখুন