দিনহাটায় উপনির্বাচনের প্রচারে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান বিজেপি প্রার্থীকে
দিনহাটা উপনির্বাচনে প্রচারে বেরিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বিজেপি প্রার্থী অশোক মণ্ডল। বিজেপি প্রার্থী প্রচারে বেরোলে তাঁকে লক্ষ্য করে গো ব্যাক স্লোগান দেয় তৃণমূল কর্মীরা বলে অভিযোগ। গোটা ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
এদিন দিনহাটা বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বামনহাট এলাকায় প্রচারে বেরিয়ে ছিলেন বিজেপি প্রার্থী অশোক মণ্ডল। পাশে ছিলেন বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী। প্রচারে গিয়ে বিজেপি প্রার্থী এলাকায় পৌঁছোতেই তৃণমূল সমর্থকদের বাধার মুখে পড়েন তিনি। তৃণমূল সমর্থকরা ক্রমাগত ‘অশোক মণ্ডল গো ব্যাক’ স্লোগান দিতে থাকে। কিন্তু স্লোগান উপেক্ষা করেই এলাকায় প্রচার করে যান বিজেপি প্রার্থী। মানুষের কাছে গিয়ে তিনি আবেদন করেন, ‘আমি অশোক মণ্ডল। পদ্মফুলে ভোটটা দেবেন’। তিনি ও মিহিরবাবু যখন এলাকায় প্রচার সারছেন, তখন তাঁদের পিছন পিছন পতাকা নিয়ে ধাওয়া করতেও দেখা যায় তৃণমূল সমর্থকদের। বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের ধাক্কাধাক্কি হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। স্বভাবতই গোটা ঘটনায় এলাকায় তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপি প্রার্থী অশোক মণ্ডল জানান, প্রচারে বেড়িয়ে যে অভিজ্ঞতা হল, তা আমার হল তা ৪০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে হয়নি। ২০০৬ সালে অশোক মণ্ডলকে ভোট দিয়েছিল উদয়ন গুহের বিরুদ্ধে। আশা রাখি, এবারেও মানুষ পদ্মফুল চিহ্নে ভোট দিয়ে আমাকে আর্শীবাদ করবে। বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে প্রচারে থাকা নাটাবাড়ির বিধায়ক মিহির গোস্বামী জানান, ‘যেভাবে আমার ও অশোক মণ্ডলের ওপর ওরা দৈহিক নির্যাতন করল, ধাক্কাধাক্কি করল, তাতে এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে আমরা প্রতিবাদ জানাব।
এখানে নির্বাচন করতে হলে ১০০ শতাংশ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দিয়ে নির্বাচন করাতে হবে ও ভোটের আগে এরিয়া ডমিনেশন করাতে হবে।’ একইসঙ্গে তিনি জানান, ‘উদয়বাবু তথাকথিত ফরওয়ার্ড ব্লকের কর্মীদের তৃণমূলে জয়েন করিয়ে শুধু বিজেপি কর্মীদের বাড়ি লুঠপাট করছে তাই নয়, তৃণমূলের আদি নেতা কর্মীদের ওপরও আক্রমণ করছে।’