দুর্গাপুজোর মধ্যেই আড়াই লক্ষেরও বেশি মানুষকে টিকা দিল হাওড়া স্বাস্থ্যদপ্তর
উত্সবের মাঝেও বড় সাফল্য। দুর্গাপুজোর মধ্যেই আড়াই লক্ষেরও বেশি মানুষকে টিকা দিল হাওড়া স্বাস্থ্যদপ্তর। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি টিকাকরণ হয়েছে গতকাল, সোমবার। পুজোর মাঝে টিকা নেওয়ার জন্য শহরের তুলনায় হাওড়া গ্রামীণ এলাকাগুলিতেই চাহিদা ছিল বেশি।
হাওড়া জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি মাসে ছিল করোনাকালে দ্বিতীয় দুর্গাপুজো। এই উত্সবের সময়ে মানুষের মধ্যে টিকার চাহিদা কতটা থাকবে, তা নিয়ে পুজোর আগে থেকে কিছুটা সংশয় ছিলই। যদিও দেখা যাচ্ছে, পুজোর সপ্তাহে টিকাকরণের হার যথেষ্ট স্বস্তিদায়ক। কারণ অর্থাত্ ষষ্ঠী থেকে রবিবার পর্যন্ত মোট টিকা দেওয়া গিয়েছে আড়াই লক্ষেরও বেশি মানুষকে। এর মধ্যে ষষ্ঠী ও সপ্তমীতে এক লক্ষেরও বেশি মানুষকে জেলাজুড়ে টিকা দেওয়া হয়েছে। অষ্টমী, নবমী ও দশমী, এই তিনদিন ক্যাম্প ও হেল্থ সেন্টারগুলি থেকে টিকা দেওয়ার কাজ বন্ধ ছিল। যদিও সেই সময় জেলার ব্লক হাসপাতাল, মহকুমা হাসপাতাল ও জেলা হাসপাতালে টিকাকরণের গতি ছিল ভালোই। এরপর একাদশী বা শনিবার এবং রবিবার টিকাগ্রহীতার সংখ্যা যথাক্রমে প্রায় পঞ্চাশ হাজার ও আটত্রিশ হাজার। কিন্তু সোমবার তা এক লাফে বেড়ে যায় অনেকটাই। শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত এদিন প্রায় ৮৫ হাজার মানুষকে জেলাজুড়ে টিকা দেওয়া গিয়েছে। যদিও রাতের দিকে সেই সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই দাবি স্বাস্থ্যদপ্তরের। এবিষয়ে হাওড়া জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাইচন্দ্র মণ্ডল বলেন, পুজোর সময় মানুষ টিকা নিতে কম আসবে, এটা একপ্রকার জানাই ছিল। তবুও যে পরিমাণ ভ্যাকসিনেশন হয়েছে, তা সন্তোষজনক। আড়াই লক্ষ মানুষ টিকা পেয়েছেন। যেহেতু পুজো মিটে গিয়েছে, তাই এই সংখ্যা এবার আরও বাড়বে বলেই মনে হয়।
এদিকে, চলতি মাসের ১১ তারিখ থেকে ১৮ তারিখ পর্যন্ত হাওড়া পুরসভার বিভিন্ন ক্যাম্প ও হেল্থ সেন্টার থেকে টিকা দেওয়া হয়েছে। পুজোর মাঝে একদিন বাদে সবদিনই চলেছে টিকা দেওয়া কাজ। সব মিলিয়ে এই ক’দিনে হাওড়া পুরসভা এলাকার ২৪,৩০১ জন মানুষ টিকা পেয়েছেন। যার মধ্যে প্রথম ডোজ পেয়েছেন ১২,৮৭২ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ১১,৪২৯ জন মানুষকে। পুরসভার তরফে প্রশাসক ডাঃ সুজয় চক্রবর্তী বলেন, পুজোয় চাহিদা কম ছিল অনেকটাই। পুজো মিটতে সোমবার থেকে সেই চাহিদা বাড়ছে। আমরাও চাই কালীপুজোর আগে আরও বেশি মানুষকে টিকার আওতায় নিয়ে আসতে।