শুভেন্দুর উগ্র প্রচারের পরেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যো্গদানের ঢল নামল শান্তিপুরে
ভবানীপুর থেকে শুরু করে মুর্শিদাবাদ – বিজেপি প্রার্থীদের সমর্থনে শুভেন্দু অধিকারী যেখানেই যাচ্ছেন সেখানেই বড় সড় ভাঙ্গন ধরছে বিজেপির সংগঠনে। এবারে ভাঙন ধরল শান্তিপুরে। গতকাল নদীয়ার শান্তিপুরে বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে ভোট প্রচারে দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছিলেন বাংলাদেশের হিন্দুদের উপরে অত্যাচারের ঘটনা বিজেপির ভোট বাড়বে বহুগুণ। তারপরে হিন্দু-মুসলমান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে ভাঙন ধরানোর উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ তুলে শুভেন্দু অধিকারীর বিরোধিতা করে তৃণমূলে যোগ দিলেন বিজেপি নেতারা।
শান্তিপুর বিধানসভার উপনির্বাচনের তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থনে শান্তিপুরে ভোট প্রচারে এলেন বনগাঁ কেন্দ্রের তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ মমতা বালা ঠাকুর। সোমবার সকাল থেকেই বিরাম নেই বৃষ্টি যদিও উপনির্বাচনের আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি তাই সময় নষ্ট করতে নারাজ তৃণমূল। সকাল থেকেই শান্তিপুরের বিভিন্ন এলাকায় মাঝারি বৃষ্টি মাথায় নিয়ে ভোট প্রচারে ব্যস্ত ছিল তৃণমূল প্রার্থী ব্রজকিশোর গোস্বামী। পাশাপাশি তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র কে সাথে নিয়ে ভোট প্রচার করেছেন শান্তিপুর ব্লকের বিভিন্ন গ্রামে। সোমবার বিকেলে শান্তিপুর বেলঘড়িয়া 2 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বেশ কয়েকটি এলাকায় জনসংযোগ ও ভোট প্রচার করলেন তৃণমূল প্রার্থী ব্রজকিশোর গোস্বামী। তৃণমূল প্রার্থী ব্রজকিশোর গোস্বামীর সাথে পা মিলালেন বনগাঁ কেন্দ্রের তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ মমতা বালা ঠাকুর। প্রায় কয়েক ঘন্টা ভোট প্রচার ও জণসংযোগ কর্মসূচি করার পরে একটি জনসভার আয়োজন করা হয় বেলঘড়িয়া দু’নম্বর পঞ্চায়েতে। সেখানেই বেশ খানিকটা সময় বক্তব্য রাখলেন তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ মমতা বালা ঠাকুর। পাশাপাশি শান্তিপুর বিধানসভার উপনির্বাচনের তৃণমূল প্রার্থী ব্রজকিশোর গোস্বামীকে বিপুল ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার জন্য আবেদন জানান গ্রামের মানুষের কাছে।মতুয়া মহাসংঘ মমতা বালা ঠাকুরের আগমনে বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগদান রানাঘাট সাংগঠনিক জেলার সভানেত্রী মাননীয়া রত্না ঘোষ কর মহাশয়া এবং অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের সভাধিপতি মমতা বালা ঠাকুর ও শান্তিপুর শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বিন্দাবন প্রামানিক ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিতিতে গবারচড় মাঝের পাড়া তে জেড পি 29 এর বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি শিব শংকর সরকার এবং 229 নম্বর বুথের বুথ সভাপতি বিপ্লব বৈরাগী সহ 100 বিজেপি পরিবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলো।