রাজ্যের চার কেন্দ্রে উপনির্বাচনে বাড়তি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করল কমিশন
পুজো মিটেছে। এবার আসন্ন ভোট। রাজ্যের চার বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন (West Bengal by-election) আগামী ৩০ অক্টোবর। নির্বিঘ্নে ভোটপর্ব মিটিয়ে ফেলতে তৎপর নির্বাচন কমিশন। নিরাপত্তার স্বার্থে আগেই ২৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) পাঠানো হয়েছিল রাজ্যে। এবার পুজো মিটতেই আরও বাড়তি বাহিনী পাঠানো হল কমিশনের তরফে। সূত্রের খবর, রাজ্যের ৪ কেন্দ্রের উপনির্বাচনের জন্য মোট ৮০ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন থাকছে। ভোটের দিন অর্থাৎ ৩০ অক্টোবর এবং ফলপ্রকাশের দিন ২ নভেম্বর কেন্দ্রে মোতায়েন থাকবেন সিআরপিএফ, বিএসএফের জওয়ানরা।
আগামী ৩০ তারিখ উপনির্বাচন রাজ্যের চার বিধানসভা কেন্দ্র – দিনহাটা, শান্তিপুর, গোসাবা, খড়দহে। স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে আগে থেকেই সুরক্ষার স্বার্থে মোট ২৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হয়েছিল। এরিয়া ডমিনেশন, রুট মার্চ চালাচ্ছিলেন বিএসএফ (BSF), সিআরপিএফ (CRPF), এসএসবি-র জওয়ানরা। ভোটের দিন যত এগোচ্ছে, নিরাপত্তার স্বার্থে আরও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের প্রয়োজনীয়তা বোধ করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। তাই পুজো মিটতেই আরও ৫৩ কোম্পানি বাহিনী পাঠানো হয়েছে রাজ্যে উপনির্বাচনের ৪ টি কেন্দ্রে। এই জওয়ানরা স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে টহলদারি চালাচ্ছেন। সাধারণ মানুষজনের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের আশ্বস্ত করছেন। ভোটের দিন নির্ভয়ে যাতে সকলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ভোটকেন্দ্র পর্যন্ত গিয়ে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন, সেই ভার জওয়ানদের, এমনই বলা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, ভোটের দিন ৪ কেন্দ্রে মোতায়েন থাকবে মোট ৮০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। ভোট হয়ে গেলে কিছু বাহিনী ফিরে যাবে। ২ নভেম্বর অর্থাৎ ফলপ্রকাশের দিন গণনাকেন্দ্রের নিরাপত্তায় থাকবেন বেশ কিছু জওয়ান। নিরাপত্তার দিকটা দেখাই তাঁদের মূল দায়িত্ব। তবে ৪ কেন্দ্রের উপনির্বাচনে স্রেফ নিরাপত্তার কারণে ৮০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠছেই। এমনিতেই দিনহাটা, শান্তিপুর, খড়দহ – তিনটি কেন্দ্রই স্পর্শকাতর, অশান্তিপ্রবণ। সে কথা মাথায় রেখেই সম্ভবত কমিশনের এই বাড়তি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত। কমিশনের কর্তাদের লক্ষ্য, সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণভাবে উপনির্বাচন পর্ব মিটিয়ে ফেলা।