স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ডে পড়ুয়াদের লোন দিতে হবে সমবায় ব্যাঙ্কগুলিকে, নির্দেশ নবান্নের
স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে যাতে বাংলার ছাত্রছাত্রীরা ঋণ পেতে পারেন তার জন্য একাধিক জেলার সমবায় ব্যঙ্কগুলিকে ব্যবহার করার নির্দেশ দিল নবান্ন। এদিন জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।
সূত্রের খবর, সেখানেই উত্তর ২৪ পরগনা, হুগলি, নদিয়া, বাঁকুড়া-সহ একাধিক জেলার জেলাশাসকদের মুখ্যসচিব বলেছেন, স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ড বাস্তবায়িত করতে যেন সমবায় ব্যাঙ্কগুলিকে ব্যবহার করা হয়। এ ব্যাপারে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে সংশ্লিষ্ট জেলাশাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব।
তৃতীয় বার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড শুরু করেছেন। একুশের ভোটে নির্বাচনী ইস্তেহারে অন্যতম প্রতিশ্রুতিও ছিল এই স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ড। এই কার্ডের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীরা উচ্চশিক্ষার জন্য লোন পাবেন বলে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আগেই জানা গিয়েছিল, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডে লোন পেতে সমস্যা হচ্ছে ছাত্রছাত্রীদের। তা ছাড়া রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলি লোন দেওয়ার ক্ষেত্রে অনীহাও প্রকাশ করছে।
এর আগে প্রাইভেট ব্যাঙ্কগুলির সঙ্গে বৈঠকও করেছিলেন মুখ্যসচিব। ছাত্রছাত্রীরা যাতে লোন পেতে পারেন তার জন্য ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে কড়া বার্তাও দিয়েছিল নবান্ন। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত লক্ষাধিক ছাত্রছাত্রী স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে স্বল্প সুদে ঋণ পাওয়ার জন্য বিভিন্ন ব্যাঙ্কে আবেদন করেছে। কিন্তু বেশিরভাগ আবেদনপত্রি ফাইলে পড়ে রয়েছে। যা নবান্নের কাছে বিড়ম্বনার হয়ে দাঁড়িয়েছে বলেই মত অনেকের।
তবে পর্যবেক্ষকদের মতে, জেলায় জেলায় যে সমবায় ব্যাঙ্কগুলি রয়েছে তাদের সবার আর্থিক সংস্থান তেমন নয়। তারা কতটা কুলিয়ে উঠতে পারবে সেটাও সংশয় রয়েছে। এক ব্যাঙ্ককর্মীর কথায়, নির্দিষ্ট নিয়ম না বাঁধলে এ ভাবে সমবায় ব্যাঙ্কগুলির ক্ষেত্রে ঋণ দেওয়া দুষ্কর। তাঁর বক্তব্য, দেখা গেল আরামবাগের সমবায় ব্যাঙ্কের ঋণ দেওয়ার মতো সংস্থান রয়েছে।
আবার বৈদ্যবাটি-শেওড়াফুলি কোঅপারেটিভ ব্যাঙ্কের নেই। সেক্ষেত্রে দেখা যাবে আরামবাগ ব্যাঙ্ক ঋন দিচ্ছে শুনলে বৈদ্যবাটির ছাত্রও সেখানে আবেদন করবেন। তা হলে ব্যাঙ্কগুলি কীসের ভিত্তিতে ঋণ দেবে?
সেক্ষেত্রে সরকারকে বলে দিতে হবে নির্দিষ্ট এলাকার সমবায় ব্যাঙ্কে কেবল ওই এলাকার ছাত্রছাত্রীরাই ঋণের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
নবান্ন সূত্রে এও জানা গিয়েছে, এদিনের বৈঠকে আধার লিঙ্ক নিয়েও উষ্মা প্রকাশ করেছেন মুখ্যসচিব। দ্রুত যাতে তা বাড়ানো যায় তার জন্য জেলাশাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।