পুজোর মধ্যেও সুষ্ঠু ছিল বিদ্যুতের জোগান, ষষ্ঠীর দিন চাহিদা ছিল শীর্ষে
এবার পুজোয় ষষ্ঠীতে সবচেয়ে বেশি বিদ্যুতের চাহিদা ছিল রাজ্যে। তবে সর্বোচ্চ যে পরিমাণ বিদ্যুতের প্রয়োজন হতে পারে বলে হিসেব কষেছিল বিদ্যুৎ দপ্তর, তার চেয়ে কিছুটা কম বিদ্যুৎ খরচ হয়েছে। রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা এবং সিইএসসি এলাকায় পুজোর দিনগুলিতে যে বিদ্যুৎ খরচ হয়েছে, তার ভিত্তিতেই এই তথ্য উঠে এসেছে। তবে গত দু’বছর ষষ্ঠীতে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ যে চাহিদা ছিল, এবার তার পরিমাণ অনেকটাই বেশি ছিল। প্রসঙ্গত, এবার পুজোয় বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কোনও বড় খবর আসেনি।
ষষ্ঠীতে বিদ্যুতের চাহিদা সর্বোচ্চ হতে পারে, এমন অনুমান অগে থেকেই করেছিল দপ্তর। তাদের অনুমান ছিল, ষষ্ঠীতে রাজ্যে বিদ্যুতের চাহিদা দাঁড়াতে পারে ৮ হাজার ৯০০ মেগাওয়াট। ২০১৯ সালের পুজোয় ষষ্ঠীতে রাজ্যে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ৭ হাজার ৭৯৩ মেগাওয়াট। গতবছর তা কমে হয় ৭ হাজার ২০৫ মেগাওয়াট। এবছর ওই দিন সর্বোচ্চ চাহিদা পৌঁছায় ৮ হাজার ৪৭০ মেগাওয়াটে।
দুর্গাপুজোর সময় বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল দেশজুড়ে। কয়লার সরবরাহ যথেষ্ট না-থাকায় সেই পরিস্থিতি তৈরি হয়। যদিও পুজোর আগে বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস আশ্বাস দেন, এরাজ্যে কোনও সমস্যা হবে না। তাঁর যুক্তি ছিল, যে পরিমাণ বিদ্যুৎ খরচের হিসেব তাঁরা কষেছেন, তার জোগান দিতে তাঁদের বাইরে থেকে বিদ্যুৎ কিনতে হবে না। সবটাই এখানে উৎপাদন হবে। এমনকী কয়লার জোগানে ঘাটতি হবে না বলেই আশাবাদী ছিলেন তাঁরা। দপ্তরের হাতে যে ছ’টি কয়লা খনি আছে, তার পাঁচটিতে কয়লা উৎপাদন হচ্ছে, যা রাজ্যের বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রয়োজনীয় কয়লার প্রায় ৭০ শতাংশ জোগান দেয়। ফলে কোল ইন্ডিয়ার মতো সংস্থার উপর যেটুকু নির্ভর করতে হয়, তাতে সমস্যা হবে না বলেই জানিয়েছিলেন অরূপবাবু। বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলিতে তাঁরা পর্যাপ্ত কয়লার জোগানও রেখেছিলেন।
রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা জানিয়েছে, তারা এবার মোট ৪০ হাজারেরও বেশি পুজো কমিটিকে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছে। কিন্তু অনেক পুজোমণ্ডপই বৈধভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ নেয়নি। তার হদিশ পেতে ৭ হাজারের বেশি মণ্ডপে অভিযান চালায় বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা। তার মধ্যে ১ হাজার ৭৯৬টি মণ্ডপে দেখা যায় বৈধভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়া হয়নি। তাদের থেকে ৩০ লক্ষ টাকার বেশি আদায় করে বণ্টন সংস্থা।