দার্জিলিংয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় মরশুমের সর্বাধিক বৃষ্টিপাত, রেকর্ড গজলডোবায়
আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস মিলে গেল। গত দু’তিন দিন ধরে ব্যাপক বৃষ্টিপাতের সাক্ষী থাকল উত্তরবঙ্গ। এমনকী দার্জিলিং, কালিম্পং, গজলডোবা, সেবক, ঝালং ইত্যাদি জায়গায় মঙ্গলবার থেকে বুধবারের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় যে পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে, তা এই মরশুমে সর্বাধিক। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের অন্যতম কর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় দার্জিলিংয়ে ২৩৩.৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এই পর্যায়ে উত্তরবঙ্গে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে গজলডোবায়। সেখানে ২৪ ঘণ্টায় ৩৪২.২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। সেবকে ২০৮.৮ মিলিমিটার, শিলিগুড়িতে ২২৬.২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় এত পরিমাণ বৃষ্টি এ বছর উত্তরবঙ্গে দেখা যায়নি বলেই মত আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের। চলতি মরশুমে আসানসোল ও বাঁকুড়ায়ও একদিনে সর্বাধিক বৃষ্টির নতুন রেকর্ড তৈরি হয়েছে কয়েকদিন আগেই।
আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, বিহার ও সংলগ্ন অঞ্চলের উপর থাকা নিম্নচাপ বলয়টি এখন ঘূর্ণাবর্ত হয়ে ওই এলাকাতেই অবস্থান করছে। এর প্রভাবে আজ, বৃহস্পতিবারও উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টিপাত চলবে। বজ্রপাতের প্রকোপ থাকবে। আলিপুরদুয়ার জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সঞ্জীববাবু জানান, উত্তরবঙ্গে কাল, শুক্রবার থেকে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হতে পারে। বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে গেলেও আকাশ পুরোপুরি পরিষ্কার হতে আরও এক-দু’দিন লাগবে। তবে দক্ষিণবঙ্গে আজ থেকেই পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে আশা করা যায়। এদিকে, দিল্লির মৌসম ভবন জানিয়েছে, আগামী ২৬ অক্টোবর দেশ থেকে এবারের মতো দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বিদায় নেবে। সেই পথ ধরেই ঢুকবে উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ু।
তারা আরও জানিয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগর, পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, গোয়া, কর্ণাটকের কিছু অংশ এবং আরব সাগরের একাংশ থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু ২৩ অক্টোবর বিদায় নেবে। উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর বিদায় নেবার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ৬ অক্টোবর। আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, ১৯৭৫ সালের পর থেকে দেখলে একমাত্র ২০১৯ সালেই দেশের উত্তর-পূর্ব অংশ থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর সরে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হতে এত দেরি হয়েছিল। এবার তা শুরু হয়েছে ৬ অক্টোবর।