লক্ষ্য ত্রিপুরার পুরভোট, নভেম্বরে আবার আগরতলায় যাচ্ছেন অভিষেক
ত্রিপুরার পুরভোটে কোমর বেঁধে নামতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এখন এটাই সেখানকার চর্চিত খবর। আর তাতে বেশ চাপে রয়েছে ক্ষমতাসীন বিজেপি। এখানে যদি দেখা যায়, তৃণমূল কংগ্রেস ভাল ফল করেছে আর বিজেপির পা হড়কেছে তাহলে তার সরাসরি প্রভাব পড়বে ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে।
তাই প্রস্তুতি শুরু করে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার আগরতলার এক হোটেলে পুরভোটের প্রস্তুতি নিয়ে ডাকা হয়েছে স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক। গত ৮ অক্টোবর তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ত্রিপুরায় দলের নেতাদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন৷ সেখানেও মূল অ্যাজেন্ডা ছিল পুরভোট। তাই আজ থেকেই পুরভোটের প্রস্তুতি শুরু করছে তাঁরা।
এখানের মাটিতে বারবার আক্রান্ত হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। স্বয়ং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরও হামলা করা হয়েছিল। তারপর তাঁর পদযাত্রা আটকাতে জারি করা হয়েছিল ১৪৪ ধারা। যা জারি থাকছে আগামী ২২ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত। তৃণমূল কংগ্রেসের তিন নেতাকে আট জেলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ভাগ হয়েছে— সুস্মিতা দেব–পশ্চিম ত্রিপুরা এবং সিপাহীজলা। আশিসলাল সিং— ধলাই, খোয়াই, উনকোটি এবং উত্তর ত্রিপুরা। আর সুবল ভৌমিক–দক্ষিণ ত্রিপুরা, গোমতী এবং সিপাহীজলা জেলার দায়িত্বে।
এই ১৪৪ ধারা উঠলেই এখানে শুরু হয়ে যাবে রাজনৈতিক প্রচার। সব জেলায় প্রচার করবে তৃণমূল কংগ্রেস। স্টিয়ারিং কমিটির সদস্যরা আগামী দু’সপ্তাহ ধরে নাগাড়ে প্রচার চালাবে। সেই প্রচারে এলাকার সমস্যা তুলে ধরা হবে এবং সমাধানে যাতে তৃণমূল কংগ্রেসকে মানুষ সুযোগ দেয় সে কথাও বলা হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বাংলায় যে উন্নয়ন–যজ্ঞ চলছে সে কথাও তুলে ধরা হবে।
উল্লেখ্য, আগামী ৪ নভেম্বর নিষেধাজ্ঞা উঠলেই ত্রিপুরা সফর করবেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই আগে থেকেই নিজেদের মধ্যে প্রস্তুতি বৈঠক শুরু করে দেওয়া হয়েছে। সেই সূত্রেই প্রচারের রণকৌশল ঠিক করতে আজ বৈঠক করছেন নেতারা। এই রিপোর্ট পেশ করা হবে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের কাছে।