রবিবার তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে গোয়া যাবেন বাবুল সুপ্রিয়
সাংসদ পদে ইস্তফা দিয়েই পুরনো দল বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়। ফেসবুকে বিজেপিকেও বিদ্ধ করেছেন তিনি। বাবুলকে নিশানা করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, ‘পিসি ভাইপোর সঙ্গে কী চুক্তি প্রকাশ করুন বাবুল সুপ্রিয়’। শুভেন্দুর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে এই ধরনের মন্তব্যেই বিঁধেছেন বাবুল। শুভেন্দুকে বললেন নৈতিকতার পাঠ বাড়ির অন্দরে দিতে। এমনকী বিজেপিকে কাঁকড়ার দল বলতেও পিছপা হলেন না তিনি। আর তৃণমূলে যে তিনি মানুষের জন্যই কাজ করতে এসেছেন, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন বারবার। এবার জানা যাচ্ছে, তৃণমূলের নজরে থাকা গোয়ায় যাচ্ছেন বাবুল সুপ্রিয়। আগামী রবিবার, তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে তাঁর গোয়ায় যাওয়ার কথা। শুধু তাই নয়, সেখানে বেশ কিছু বৈঠকেও যোগ দেবেন তিনি।
বাবুলের গোয়া যাওয়ার প্রসঙ্গে শুক্রবার সৌগত রায় বলেন, ‘ত্রিপুরায় গিয়েছি, গোয়ায় যাচ্ছি। আরও অনেক রাজ্যে যাচ্ছি। ২০২৪ এর আগে আরও যাব। গোয়ায় আমি নিজেও যাচ্ছি। আমার সঙ্গে বাবুল সুপ্রিয়ও যাচ্ছেন।’ আর সৌগত রায়ের এই ঘোষণার পরই বোঝা গেল, বাবুল সুপ্রিয়কে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফরের আগেই গোয়ায় বাবুলের সফর সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীপদ হারিয়ে বাবুল সুপ্রিয় ঘোষণা করে দিয়েছিলেন, আর রাজনীতি করবেন না তিনি। এমনকী এও বলেছিলেন, তাঁর নির্দিষ্টভাবে একটাই দল, একটা বিশ্বাসেই তাই তিনি বিশ্বাসী থাকতে চান। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র এই ঘোষণা অবশ্য বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। বিজেপি ছেড়ে সরাসরি তিনি যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলে। কিন্তু এর পর? এখনও ঘোষণা না হলেও তাঁকে বড় দায়িত্বই যে তৃণমূল দিতে চলেছে, তা স্পষ্ট, এমনকী বাবুল নিজেও বারবার তা বুঝিয়ে দিয়েছেন। বাবুলকে গোয়ায় পাঠানো সেই বড় দায়িত্বেরই সূত্রপাত বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
বিজেপি ছাড়ার সঙ্গেসঙ্গেই বাবুল ঘোষণা করেছিলেন, তিনি ওই দলের সাংসদ পদ আঁকড়ে থাকবেন না। দীর্ঘ চেষ্টার পর লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে গত মঙ্গলবার সাংসদ পদ থেকে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। এবার বাবুলের গন্তব্য গোয়া।