শান্তিপুরের প্রচারমঞ্চ থেকে সরাসরি শুভেন্দুকে নিশানা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের
হাতে মাত্র কয়েকটা দিন। তারপরেই বঙ্গে উপনির্বাচন। সেই উপলক্ষ্যেই শান্তিপুরে শুক্রবার প্রচারে এসে সরাসরি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) নিশানা করলেন তৃণমূল মহাসচিব তথা রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। প্রচারমঞ্চ থেকে সরাসরি অধিকারীপুত্রকে নিশানা করার পাশাপাশি স্পষ্টই জানিয়ে দেন শান্তিপুরের উপনির্বাচনে ‘বিনা যুদ্ধে সূচগ্র মেদেনী’ ছাড়তে নারাজ তৃণমূল (TMC)।
তৃণমূলের তরফে যখন পার্থ চট্টোপাধ্যায়রা সভা করছিলেন, কার্যত প্রায় একই সময়ে নদিয়াতেই বিজেপির কর্মীসভায় উপস্থিত ছিলেন শুভেন্দু। তৃণমূলের সভার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এদিন পার্থ বলেন, “ওঁর কথা যত কম বলা যায় তত ভাল। ওঁর এমন অহঙ্কার, এমন মুখের ভাষা বিজেপির পতনের কারণ। শুভেন্দুই বিজেপির পতন ডেকে আনবে। রাজ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া আর কোনও মুখ নেই। আর কেউ নেই। আর কেউ হবে না। শান্তিপুরে বিরোধীদের দেখা যাচ্ছে না। বোধহয় দূরবীন দিয়ে দেখতে হবে।”
এখানেই থামেননি তৃণমূল মহাসচিব। সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, “যে এমন অসম্মান করে, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপমানজনক মন্তব্য করেন তাঁর কাছে যাওয়ার কী দরকার। সাংবাদিককের এ হেন অসম্মান কাম্য নয়। কোনওভাবেই এধরনের মন্তব্য বরদাস্ত করি না।” প্রসঙ্গত, সংবাদমাধ্যমকে ‘চটি চাটা মিডিয়া’ বলে উল্লেখ করেন অধিকারী পুত্র। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন সময়ে নানা বেফাঁস মন্তব্যও করেছেন তিনি। যা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়েছে রাজনৈতিক মহলে। এর আগে সংবাদমাধ্যমকে ‘দুই পয়সার প্রেস’ বলে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। এ বার, অধিকারী পুত্রের মন্তব্য়কে কেন্দ্র করে সংবাদমাধ্যমের একাংশেও বিরোধের সুর লক্ষ্য করা গিয়েছে।
তবে এই প্রথম নয়, নির্বাচন আবহেও বিভিন্ন সময়ে বিজেপি নেতার মন্তব্যে কার্যত অস্বস্তিতেই পড়েছিল পদ্ম শিবির। বারবার খোদ তৃণমূল সুপ্রিমোকে ‘বেগম’ ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘কয়লাচোর’ বা ‘ভাইপো’ বলে কটাক্ষ করায় অধিকারী পুত্রের মন্তব্য়ের জল গড়িয়েছিল হাইকোর্ট পর্যন্ত। সম্প্রতি, বিধানসভার স্পিকারের বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্যের অভিযোগে, শুভেন্দু অধিকারীকে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস পাঠিয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। যদিও তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি পদ্ম শিবির।