কেন মিলল না কোভ্যাকসিনের ছাড়পত্র? মোদী সরকারকে আক্রমণ তৃণমূলের
করোনা মোকাবিলায় টিকাকরণ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকারকে আক্রমণ করল তৃণমূল। নেতৃত্বের স্পষ্ট বক্তব্য, সাফল্যের বড়াই না করে প্রধানমন্ত্রী নজর দিন, দ্রুত যাতে দেশবাসীর দ্বিতীয় ডোজ সম্পন্ন হয়।
দেশে ১০০ কোটি ডোজের টিকাকরণ সম্পূর্ণ হয়েছে। এই সাফল্যের কথা তুলে ধরে শুক্রবার দেশবাসীকে বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি উল্লেখ করেছেন, করোনা মোকাবিলায় যুদ্ধ এখনও থামেনি। অস্ত্র হিসেবে একমাত্র মাস্ক ব্যবহার করা। জুতো পরে ঘরের বাইরে বের হওয়ার মতো মাস্ক পরেও যেতে হবে। তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায় বলেছেন, দেশের কত জন মানুষকে করোনার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে, সেই প্রশ্নের উত্তর দিলেন না প্রধানমন্ত্রী। আর সর্বজনীন ফ্রি ভ্যাকসিন হয়নি। একাধিক বেসরকারি সংস্থা টাকা নিয়ে ভ্যাকসিন দিয়েছে। পাশাপাশি তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, কোভ্যাকসিনের ছাড়পত্র ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন এখনও দেয়নি। বিশ্বের একাধিক দেশে যেতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন ভারতের মানুষজন। তাঁদের আশঙ্কা রয়েছে। ফলে এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিন প্রধানমন্ত্রী।
থালা বাজানো, প্রদীপ জ্বালানোর প্রসঙ্গ টেনেও আক্রমণ শানিয়েছে তৃণমূল। তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়, মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম একযোগে বলেছেন, থালা বাজিয়ে কিংবা প্রদীপ জ্বালিয়ে করোনা দূর করা যাবে না। এসব অবৈজ্ঞানিক পন্থা, কোনও বাস্তব ভিত্তি নেই। প্রধানমন্ত্রীর উচিত, দ্রুত সকল দেশবাসীর করোনার সম্পূর্ণ টিকাকরণ সম্পন্ন করা। একইসঙ্গে ফিরহাদ হাকিমের কটাক্ষ, দেশবাসীর ভ্যাকসিনের সার্টিফিকেটে প্রধানমন্ত্রীর ছবি থাকছে। তাহলে করোনায় যাঁরা মারা গিয়েছেন, তাঁদের ডেথ সার্টিফিকেটেও প্রধানমন্ত্রীর ছবি থাকা উচিত।
এদিকে কংগ্রেসের অভিযোগ, মোদী দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন। দেশের মাত্র ২১ শতাংশ মানুষ টিকার সম্পূর্ণ ডোজ পেয়েছেন। অধিকাংশ মানুষের কাছেই ভ্যাকসিন এখনও অধরা। কবে তাঁরা টিকা পাবেন, প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস। কেন্দ্রের প্রতিশ্রুতি মতো কীভাবে দেশের সমস্ত প্রাপ্তবয়স্ককে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে টিকা দেওয়া সম্ভব, তা জানতে চেয়েছে তারা। সেই লক্ষ্য পূরণ করতে গেলে আগামী ৭০ দিনে ১০৬ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন দিতে হবে। কীভাবে তা সম্ভব প্রশ্ন তোলেন কংগ্রেস মুখপাত্র গৌরব বল্লভ। তাঁর অভিযোগ, মুদ্রাস্ফীতি ও সন্ত্রাসবাদের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নীরব। কংগ্রেসের কটাক্ষ, করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে ‘মহোৎসব’-এর বদলে, করোনায় মৃত সাড়ে চার লক্ষ মানুষের পরিবারকে সমবেদনা জানানো উচিত ছিল প্রধানমন্ত্রীর।