বলিউড তারকাদের মেসেজ ফাঁস! উঠছে হোয়াটসঅ্যাপের সুরক্ষার প্রশ্ন
হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে আপনার সমস্ত কথপোকথন সুরক্ষিত থাকে। কাকে কী লিখলেন, তা আপনার অনুমতি ছাড়া কাক-পক্ষীতেও টের পায় না। মেসেজিং অ্যাপের ভাষায় বললে, এই প্ল্যাটফর্মের সমস্ত চ্যাট এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপ্টেড। হোয়াটসঅ্যাপের তরফে অন্তত তেমনটাই দাবি করা হয় প্রতিবার। কিন্তু সম্প্রতি একটা প্রশ্ন হয়তো আর পাঁচজনের মতো আপনার মাথাতেও ঘোরাফেরা করছে। হোয়াটসঅ্যাপ যদি এতটাই নিরাপদ হয়, তবে বলিউড তারকাদের চ্যাট কীভাবে ফাঁস হয়ে যায়। কীভাবে জানা যায়, তাঁরা কার সঙ্গে চ্যাটে কী কথা বলেছেন?
একটু পিছনে তাকালেই মনে পড়বে রিয়া চক্রবর্তীর কথা। বলিউড অভিনেত্রীর হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) চ্যাট ছড়িয়ে পড়েছিল সর্বত্র। এরপর একে একে দীপিকা পাড়ুকোন, শ্রদ্ধা কাপুরদের চ্যাটের কথাবার্তাও নাকি নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো বা NCB-র আধিকারিকদের হাতে এসেছিল। উঠে এসেছে মাদক কাণ্ডে নাম জড়ানো শাহরুখপুত্র আরিয়ান খানের (Aryan Khan) চ্যাট। সম্প্রতি আবার চাঙ্কি পাণ্ডের মেয়ে অনন্যা পাণ্ডের চ্যাট নিয়েও আলোচনা চলছে। কীভাবে তাহলে এই তারকাদের চ্যাট ফাঁস হচ্ছে? এক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রথমত, গোয়েন্দা আধিকারিকরা ইউজারদেরই ফোনটি আনলক করে দিতে বলছেন। আনলকড ফোনটি হাতে পেলে অনায়াসে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট পড়া যাবে। নেওয়া যাবে স্ক্রিন শটও।
দ্বিতীয়ত, ফোনটি যদি আনলক অবস্থায় হাতে পাওয়া যায়, তাহলেও পুলিশের সাইবার শাখা ‘ম্যাজিক’ করে চ্যাট বক্সে ঢুকতে পারে। তাছাড়া একবার চ্যাটের হোম পেজে প্রবেশ করলে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ক্লাউড থেকে তারা চ্যাটের ব্যাক-আপও পেয়ে যেতে পারে।
তৃতীয়ত, ইডি অথবা NCB-র মতো সংস্থাগুলি আদালতের লিখিত অনুমতি নিয়ে গুগল কিংবা অ্যাপেলের কাছে কোনও ব্যক্তির হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের ব্যাক-আপ চাইতে পারে। সেক্ষেত্রে তদন্তের স্বার্থে টেক জায়ান্টগুলি গোয়েন্দাদের তা দিতেও পারে।
চতুর্থত, এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন (end-to-end encrypted) অপশনটি আপনাকেই অন রাখতে হবে। তা নিজে থেকে চালু থাকে না। তাই যদি কোনও কারণে তা অন না থাকে তাহলেও কিন্তু চ্যাট ফাঁস হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।