‘দুয়ারে রেশনে’ স্বস্তি রাজ্যের, জরুরি ভিত্তিতে মামলার শুনানির আর্জি খারিজ আদালতে
দুয়ারে রেশন (Duare Sarkar) প্রকল্প নিয়ে আদালতে ফের স্বস্তিতে রাজ্য। অনিচ্ছুক ডিলারদের আবেদন ফেরাল রাজ্য। জরুরি ভিত্তিতে মামলার শুনানির আর্জি খারিজ। রাজ্যের দুয়ারে রেশন প্রকল্পের বিরোধিতায় দায়ের করা মামলা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে বিচারাধীন।
এই অবস্থায় গত পরশু এই প্রকল্পের স্থায়ীকরণের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রাজ্য। রাজ্যের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় ফের আজ আদালতের দ্বারস্থ হন ডিলারদের একাংশ। জরুরি ভিত্তিতে শুনানির আর্জি জানান তাঁরা। সেই আবেদন খারিজ করল হাইকোর্ট।
প্রসঙ্গত, সেপ্টেম্বরেই আদালতের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, বন্ধ করা হচ্ছে না দুয়ারে রেশন প্রকল্প। বাড়ি বাড়ি গিয়ে রেশন দেওয়ার যে প্রকল্প রাজ্য চালু করেছে তাতে সীলমোহর দেয় আদালত। দুয়ারে রেশন প্রকল্পের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কয়েকজন রেশন ডিলার। আগেই সেই আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়।
রেশন ডিলারদের বক্তব্য ছিল, এই দুয়ারে রেশন প্রকল্প চালু করার ফলে, ডিলারদের উপর চাপ বেড়েছে। ডিলারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে রেশন পৌঁছে দিয়ে আসতে হচ্ছে। কিন্তু এর জন্য তাঁরা সরকারের থেকে আলাদা করে কোনও সাহায্যই পাচ্ছেন না। অনেকক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, রেশন ডিলারদের হাতে তেমন লোক-বলও নেই, যাতে তাঁরা স্থানীয়দের বাড়ি বাড়ি গিয়ে রেশন পৌঁছে দিতে পারেন। সরকারের তরফে রেশন আইনে কোনওরকম পরিবর্তন করা হয়নি বলেও অভিযোগ ছিল রেশন ডিলারদের। এমনই একগুচ্ছ দাবি-দাওয়া নিয়ে তাঁরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কলকাতা হাইকোর্টে তাঁরা আবেদন করেছিলেন, যাতে দুয়ার রেশন প্রকল্পের উপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়।
উল্টোদিকে, রাজ্য সরকারের বক্তব্য ছিল, এই দুয়ারে রেশন প্রকল্পটি একটি পরীক্ষামূলক প্রকল্প। প্রাথমিকভাবে এই প্রকল্পে কেমন কাজ হচ্ছে, কতটা সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে, সেই সব দিক খতিয়ে দেখে তারপরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, এই প্রকল্প আগামী দিনে চালিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে কিনা। আর রেশন আইনের বিষয়টিও পরিরর্তনশীল। আগামী দিনে প্রয়োজন হলে রাজ্যের রেশন সংক্রান্ত আইনে সংশোধন করা হতে পারে বলেও জানানো হয়েছিল রাজ্যের তরফে।
হাইকোর্টে বিচারপতি অমৃতা সিনহা কার্যত রাজ্যের সেই কথার উপরেই সিলমোহর দেন। দুয়ার রেশন প্রকল্প বন্ধ করার জন্য রেশন ডিলারদের তরফে যে আবেদন কলকাতা হাইকোর্টে জমা করা হয়েছিল, তা আজ খারিজ করে দেওযা হয়েছে। রাজ্য সরকার দুয়ারে রেশন নিয়ে যে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, বাড়ি গিয়ে রেশন দেওয়ার জন্য ডিলারদেরই গাড়ির খরচ, প্রচারের খরচ এবং সংরক্ষণের খরচ বহন করতে হবে।