বিজেপি ভাইরাসে একমাত্র টিকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দিনহাটার সভায় অভিষেক
মাস ফুরোলেই চার বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। তার আগে সোমবার উত্তরবঙ্গের দিনহাটায় নির্বাচনী প্রচারে গেলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রচারের মঞ্চ থেকে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ শানালেন তিনি। করোনা ভাইরাস, শ্যামাপোকার সঙ্গে বিজেপির তুলনা করলেন অভিষেক। একইসঙ্গে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যাকে বিজেপির ভ্যাকসিন বলেও উল্লেখ করলেন। এদিন কংগ্রেসের বিরুদ্ধেও সরব হয়েছেন অভিষেক।
৩০ অক্টোবর কোচবিহারের দিনহাটায় বিধানসভা উপনির্বাচন। গত বিধানসভা ভোটে এই কেন্দ্র থেকে জিতেছিলেন সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক। কিন্তু তিনি সাংসদ পদ ছাড়েননি তাই এই কেন্দ্রে ফের বিধানসভা নির্বাচন হচ্ছে। এ নিয়ে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করলেন অভিষেক। বললেন, “মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে বিজেপি। তাই মানুষের ভোটে জিতে বিধায়ক পদ ছেড়ে দিয়েছেন।” এর পরই গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে করোনা ভাইরাসের তুলনা করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
অভিষেকের কথায়, “করোনা একটা ভাইরাস। বিজেপিও একটা ভাইরাস। করোনার ভ্যাকসিন কোভিশিল্ড আর বিজেপির ভ্যাকসিন একটাই, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোচবিহারকে ভাইরাসমুক্ত করুন।” তিনি আরও বলেন, “বিজেপি হল শ্যামাপোকা। শুধু ভোটের আগে আসে। এর আগে তো কত প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, নারায়ণী সেনা গড়বে, কিছু কি পালন করেছে? এটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিজেপির পার্থক্য।”
অভিষেকের দাবি, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দল দেখে না। আপনারা দেখুন তো, কোন সিপিএম-কংগ্রেস-বিজেপি কর্মী-সমর্থক সরকারি পরিষেবা পায় না? একজনকে দেখিয়ে দিন, আমাদের দলের কর্মীরা বাড়ি গিয়ে পরিষেবা দিয়ে আসবে।”
এদিনও ভোটপ্রচারের মঞ্চ থেকে কংগ্রেসকে তুলোধোনা করলেন অভিষেক। তাঁর কথায়, “বিজেপি ভেবেছিল ধমকে চমকে কংগ্রেসের মতো আমাদের বসিয়ে রাখা যাবে। কিন্তু সেটা হওয়ার নয়।” তিনি আরও বলেন, “আমি আগেও বলেছি কংগ্রেসের সঙ্গে আমাদের পার্থক্য আছে। ২০১৪ সাল থেকে ওঁরা বিজেপির কাছে হারছে। আর আমরা ২০১৪ সাল থেকে বিজেপিকে হারাচ্ছি।”