পরিচালক প্রকাশ ঝাকে নাম না করে হুমকি বিতর্কিত সাংসদ সাধ্বী প্রজ্ঞার
ফের বিতর্কিত মন্তব্য করলেন সাধ্বী প্রজ্ঞা সিংহ ঠাকুর। এ বার নাম না করে বিজেপি সাংসদ নিশানা করলেন পরিচালক প্রকাশ ঝা এবং তাঁর নয়া ওয়েব সিরিজ ‘আশ্রম’-কে।
সোমবার প্রজ্ঞা বলেন, ‘‘এ দেশের থাকতে গেলে সনাতন ধর্মকে নিয়ে ছেলেখেলা করা চলবে না।’’ সেই সঙ্গেই তাঁর মন্তব্য, ‘‘আমরা সাধু-সন্তেরা সিনেমা দেখি না। মনে হচ্ছে ওঁরা আমরাদের বাধ্য করছেন ছবি দেখতে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে।’’ সেই সঙ্গে প্রকাশের নাম না করে প্রজ্ঞার ঘোষণা, ‘‘সেন্সর বোর্ডকে এমন মানুষের বিরুদ্ধে আমি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলব।’’ ছবিকে ছাড়পত্র দেওয়ার পদ্ধতির বদলের জন্য নিয়ে তিনি কেন্দ্র এবং মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহানকে চিঠি লিখবেন বলেও জানিয়েছেন প্রজ্ঞা।
এমনকি, কোনও ছবির মধ্যে আপত্তিকর কিছু আছে কি না, তা যাচাই করা জন্য পৃথক একটি কেন্দ্রীয় দফতর তৈরির সওয়াল করেছেন মধ্যপ্রদেশের ভোপালের বিজেপি সাংসদ। তিনি জানান, কোনও সিনেমা মুক্তি পাওয়ার আগে তাতে আপত্তিকর কিছু আছে কি না তা দেখার পাশাপাশি প্রয়োজন বুঝলে ছবি তৈরির অনুমতি দেওয়ার আগে ‘আইনি ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি’ চিত্রনাট্যও খতিয়ে দেখবে।
এমনকি, কোনও ছবির মধ্যে আপত্তিকর কিছু আছে কি না, তা যাচাই করা জন্য পৃথক একটি কেন্দ্রীয় দফতর তৈরির সওয়াল করেছেন মধ্যপ্রদেশের ভোপালের বিজেপি সাংসদ। তিনি জানান, কোনও সিনেমা মুক্তি পাওয়ার আগে তাতে আপত্তিকর কিছু আছে কি না তা দেখার পাশাপাশি প্রয়োজন বুঝলে ছবি তৈরির অনুমতি দেওয়ার আগে ‘আইনি ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি’ চিত্রনাট্যও খতিয়ে দেখবে।
রবিবার প্রজ্ঞার নির্বাচনকেন্দ্র ভোপালের আরেরা হিলস এলাকায় পুরনো জেল চত্বরে শ্যুটিং চলছিল ‘আশ্রম’-এর। সেখানেই বজরং দলের কর্মীরা আচমকা এসে ভাঙচুর শুরু করেন। প্রথমে সেটে অপেক্ষমান গাড়িগুলিতে, পরে শ্যুটিংয়ের জিনিসপত্রও ভেঙে দেন তাঁরা। পরিচালকের প্রকাশের মুখে কালিও ছেটান।
বজরং দলের অভিযোগ, পরিচালক ওয়েবসিরিজের নাম রেখেছেন আশ্রম। যে আশ্রম একটি ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় সংস্কৃতি। কোনও একটি আশ্রমে ঘটা অপরাধের জন্য পরিচালক দেশের সব আশ্রমের দুর্নাম করতে পারেন না। ওয়েব সিরিজের ওই নাম রেখে আশ্রম সংস্কৃতির অবমাননা করেছেন প্রকাশ।
প্রসঙ্গত, অতীতে অনেকবারই বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন প্রজ্ঞা। মালেগাঁও বিস্ফোরণ-কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া প্রজ্ঞার বিরুদ্ধে এক সময় তদন্ত করেছিলেন মুম্বই পুলিশের আধিকারিক হেমন্ত কারকারে। ২৬/১১ সন্ত্রাসের মোকাবিলা করতে গিয়ে এটিএস প্রধান হেমন্ত প্রাণ দিলে, সাধ্বী বলেছিলেন, তাঁর ‘অভিশাপে’ই ওই মৃত্যু। নাথুরাম গডসেকে ‘দেশপ্রেমিক’ বলে সংসদে ক্ষমাও চেয়েছেন প্রজ্ঞা। গোমুত্র খেয়ে তাঁর ক্যানসার সেরেছে বলে দাবি করে হাসির খোরাকও হয়েছেন বিজেপি-র সাধ্বী-সাংসদ। সাম্প্রতিক কৃষি আইন বিরোধী আন্দোলনের সময় কৃষকদের ‘দেশদ্রোহী’ এবং শূদ্র (দলিত)-দের ‘অজ্ঞ’ বলেও সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি।