গোয়া, ত্রিপুরার হিংসার ঘটনায় দীপাবলির পর রাষ্ট্রপতির কাছে যাবে তৃণমূল
ত্রিপুরায় তাঁর গাড়ির ওপর হামলায় যাঁরা অভিযুক্ত, তাঁদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানালেন তৃণমূল সাংসদ সুস্মিতা দেব। আজ দিল্লিতে তৃণমূলের সাংবাদিক বৈঠক করেন দলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় এবং সুস্মিতা দেব।
আজ জানানো হয় যে ত্রিপুরার ডিজিপি-কে এই দাবি জানিয়ে চিঠি লিখেছেন সুস্মিতা। চিঠিতে তাঁর অভিযোগ, গত ২৩ অক্টোবর আমতলি বাজার এলাকায় যাঁরা তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের ওপর হামলা চালাল, তাঁদের নাম পুলিশকে জানানো সত্ত্বেও কেউ গ্রেফতার হয়নি।
২০২৩ -এর বিধানসভা ভোটের দু’বছর আগে থেকেই উত্তর-পূর্বের রাজ্যে সক্রিয়তা বাড়িয়েছে তৃণমূল। একাধিকবার ত্রিপুরায় গেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। যা নিয়ে ক্রমশ বাড়ছে তৃণমূল-বিজেপির সংঘাত।
এই প্রেক্ষাপটে পুরভোটের মুখে গত শুক্রবার পশ্চিম ত্রিপুরার আমতালি বাজারে তৃণমূলের প্রচার গাড়িতে হামলা হয়। আহত হন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেব।
সুস্মিতা বলেন, ভিডিওয় পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে কারা জড়িত, এভাবে ত্রিপুরা পুলিশ প্রশাসন চললে কী হবে? দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও সুস্মিতার বক্তব্যে গোয়ায় দলের ব্যানার ছেঁড়ার কথা উঠে আসে। তিনি জানান, লখিমপুরের ঘটনাকে সংসদে উপস্থাপনা করবেন তাঁরা।
বিরোধী ঐক্য নিয়ে কথা উঠলে সুখেন্দু শেখর জানান, এই বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে কথা বলেছিলেন, কিন্তু কংগ্রেস বোধহয় নিজেদের অভ্যন্তরীণ সমস্যা মেটাতে ব্যস্ত ছিল। কংগ্রেসের জন্য অনন্তকাল অপেক্ষা করা সম্ভব নয়। তৃণমূল শুধু নিজেদের দলের শক্তি বাড়ানোর চেষ্টা করছি।”
সুস্মিতা দেব সুর আরও খানিকটা চড়িয়ে বলে দেন,”বাংলা বা ত্রিপুরায় তো কংগ্রেসের কোনও শক্তি নেই। তাহলে কি এই রাজ্যগুলিতে কংগ্রেস লড়বে না?” তৃণমূল নেতাদের বক্তব্য, যে কোনও রাজনৈতিক দলই নিজেদের শক্তিশালী করার চেষ্টা করতেই পারে। এতে ভুল কিছু নেই।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার রাজ্যসভার সদস্যপদে শপথ নেন তৃণমূল নেত্রী সুস্মিতা দেব৷