রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে সংক্রমণ বাড়লেও একদিনে করোনামুক্ত ৮১১ জন

October 26, 2021 | 2 min read

কলকাতার সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমকে চিঠি দিয়েছে কেন্দ্র। আর সেই মঙ্গলবারই মহানগরের করোনা সংক্রমণ আরও চিন্তা বাড়াল রাজ্য প্রশাসনের। স্বাস্থ্যদপ্তরের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২৪৮ জন। যা রাজ্যের মধ্যে সর্বাধিক। 

এদিন স্বাস্থ্যদপ্তরের রিপোর্ট বলছে, নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৮০৬ জন। যা আগের দিনের তুলনায় সামান্য বেশি। তবে বেড়েছে টেস্টিং-ও। পজিটিভিটি রেট কমে হয়েছে ২.০৮ শতাংশ। তবে একদিনে করোনার বলি হয়েছেন ১৫ জন রাজ্যবাসী। যা সোমবারের তুলনায় বেশি। একদিনে করোনামুক্ত হয়েছেন ৮১১ জন। 

দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে রাজ্যে শীর্ষস্থানে রয়েছে কলকাতা। দ্বিতীয় স্থানে উত্তর ২৪ পরগনা (১৪৮)।  তৃতীয় স্থানে দক্ষিণ ২৪ পরগনা (৭৪)। কলকাতা (৬) ও উত্তর ২৪ পরগনা (৬) দুই জেলাতে মোট ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।  পূর্ব বর্ধমানে ২ জন এবং হুগলিতে একজনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে রাজ্যের মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৯ হাজার ৮১ জন। 

এদিকে রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন কেন্দ্র চিঠি দিয়েছেন রাজ্য সরকারকে। সেই চিঠিতে বিশেষভাবে কলকাতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। গত ১ মাসের করোনার ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফ নিয়ে চিন্তিত কেন্দ্র। পাশাপাশি, রাজ্য প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে বলেছে তারা।

কলকাতার করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে সক্রিয় হয়েছে পুরসভা। উপসর্গহীন করোনা সংক্রমণ রুখতে শহরে মাস্কহীন ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ই কার্যত নিষিদ্ধ ঘোষণা করল কলকাতা পুরসভা। শুধু তাই নয়, ফুটপাতে বা বাজারের বাইরে যে সমস্ত মাছ—সবজি বিক্রেতা বা হকার বসছেন তঁাদের দোকান সাজিয়ে বসার ক্ষেত্রেও এবার মাস্ক বাধ্যতামূলক। যদি কোনও হকার বা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মাস্ক ছাড়া পণ্য নিয়ে বসেন তবে তাকে তুলে দেবে পুলিশ। 

পাশাপাশি কলকাতায় কন্টেনমেন্ট জোন হবে না ঠিকই কিন্তু বরো ১০, ১১, ১২ জোনে সংক্রমণ রুখতে আক্রান্তদের ফ্ল্যাট বা বাড়িকে ঘিরে কিছু মাইক্রো—কন্টেনমেন্ট চালু করছে পুরসভা। এদিন পুরসভার রিভিউ বৈঠকে বহুতল ও অভিজাত আবাসনে কোভিড সংক্রমণ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন মুখ্যপ্রশাসক। বাইপাস লাগোয়া ১০৭, ১০৮, ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডে সংক্রমণের সংখ্যা বেশি হওয়ায় উদ্বিগ্ন পুরসভা।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#West Bengal, #Coronavirus, #covid19

আরো দেখুন