‘স্বাস্থ্যসাথী’ নিয়ে রোগ নির্ণয় খাতে খরচের লক্ষণরেখা বেঁধে দিল রাজ্য সরকার
‘স্বাস্থ্যসাথী’ (Swasthya Sathi Card) চিকিৎসা বিমায় রোগ নির্ণয় খাতে খরচের লক্ষণরেখা বেঁধে দিল রাজ্য সরকার। রোগী ভরতির পর ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা বাবদ বেসরকারি হাসপাতাল বা নার্সিংহোম পাঁচ হাজার টাকার বেশি খরচ করতে পারবে না। এবং এরপরেই রোগীকে প্যাকেজের আওতায় আনতে হবে।
মঙ্গলবার এই মর্মে অ্যাডভাইসরি প্রকাশ করে স্বাস্থ্য ভবনের নির্দেশ, রোগী ভরতির পর একের পর এক ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা করা চলবে না। সর্বাধিক পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত টেস্ট করা যাবে, এবং সেই সময় পর্যন্ত বেড চার্জ অনুমোদন করা হবে। দ্রুত রোগ নির্ণয় করে রোগীকে নির্দিষ্ট প্যাকেজের আওতায় আনতে হবে। এর অন্যথা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়ে রেখেছে স্বাস্থ্যভবন।
স্বাস্থ্যসাথীর আওতায় বর্তমানে ১৯০০টি বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা-প্যাকেজ মজুত। অ্যাডভাইসরিতে স্পষ্ট বলা হয়েছে, বেশ কিছু বেসরকারি হাসপাতাল-নার্সিংহোম রোগী ভরতি নেওয়ার পর অনর্থক একের পর এক ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা করে যায়। ফলে সঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু হতে যেমন দেরি হয়, তেমন সরকারি কোষাগার থেকে বেরিয়ে যায় প্রচুর টাকা।
বস্তুত অর্থ দপ্তরের হিসেব মোতাবেক, ‘স্বাস্থ্যসাথী’ খাতে গড়ে রোজ সরকারের প্রায় ৮ কোটি টাকা খরচ হয়, মাসে প্রায় আড়াইশো কোটি। ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় ২ হাজার ৩৩০টি বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোম স্বাস্থ্যসাথীর আওতায়, মোট উপভোক্তা প্রায় সাড়ে আট কোটি। রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডা অজয় চক্রবর্তীর কথায়, “স্বাস্থ্যসাথী বিমা রাজ্যের একটি অনন্য কর্মসূচি। একে আরও সুচারু করতে বেশ কিছু পরিকল্পনা রয়েছে। হিসাবকে সহজ করতেই এই ব্যবস্থা।” অজয়বাবুর পর্যবেক্ষণ, দ্রুত রোগ নির্ণয় করে রোগীকে নির্দিষ্ট প্যাকেজের আওতায় এনে চিকিৎসা করলে অহেতুক খরচ কমে। রোগী দ্রুত সুস্থ হতে পারে। তা মাথায় রেখেই এই নতুন পদক্ষেপ।