দেশ বিভাগে ফিরে যান

আগামী মার্চের মধ্যে ১৩টি এয়ারপোর্ট বেসরকারি হাতে তুলবে মোদী সরকার

October 27, 2021 | 2 min read

ছবি: প্রতীকী

সরকারি সংস্থা থেকে ব্যাঙ্ক। বন্দর থেকে বিমা। মহাকাশ থেকে প্রতিরক্ষা। বেসরকারিকরণের মেগা উৎসবের তালিকায় এবার আরও ১৩টি বিমানবন্দর। আগামী বছরের মার্চ মাসের মধ্যে দেশের ১৩টি ছোট এবং বড় এয়ারপোর্ট রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিকাঠামো সংস্কারের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হবে বেসরকারি হাতে। বেসরকারিকরণের এই প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে শীঘ্রই। আর টার্গেট? ৪ হাজার কোটি টাকা। ‌আবেদনপত্র চেয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়াটাও সময়ের অপেক্ষা। 

এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান সঞ্জীব কুমার নিজেই সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ১৩টি এয়ারপোর্টকে চিহ্নিত করে অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের কাছে নাম পাঠানো হয়েছে। পাবলিক প্রা‌ইভেট পার্টনারশিপের মাধ্যমে সেগুলি আগামী দিনে পরিচালিত হবে। চলতি আর্থিক বছর (২০২১-২২) শেষ হওয়ার আগেই সমাপ্ত হয়ে যাবে বেসরকারিকরণ প্রক্রিয়া। কেন্দ্রীয় সরকারের ন্যাশনাল মানিটাইজেশন পাইপলাইন প্রকল্পের অন্তর্গত এই বেসরকারিকরণ কর্মসূচি এখানেই শেষ হচ্ছে না।  ২০২৪ সালের আগে আরও ১২টি বিমানবন্দরকে এভাবেই বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়া হবে। মানিটাইজেশন কর্মসূচিতে সাফ বলা হয়েছে, মোট ২৫টি এয়ারপোর্টের বেসরকারিকরণ হবে। আপাতত প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে ছ’টি বড় বিমাবন্দরের পরিচালনার অধীনে নিয়ে আসা হবে সাতটি ছোট এয়ারপোর্টকে। বড় বিমানবন্দরগুলি হল, বারাণসী, অমৃতসর, ভুবনেশ্বর, রায়পুর, ইন্দোর ও ত্রিচি। এগুলির পরিচালন ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত করা হবে কুশীনগর, গয়া, কাংড়া, তিরুপতি, আওরঙ্গাবাদ, জব্বলপুর এবং হুবলিকে। উল্লেখ্য, এই ১৩টি এয়ারপোর্ট পরিচালনার দায়িত্ব শেষ পর্যন্ত কোন শিল্প সংস্থার হাতে যাবে, সেটাই এখন কোটি টাকার প্রশ্ন। নাম নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলে জল্পনা চরমে উঠেছে। কারণ, এর আগে ২০১৯ সালে আমেদাবাদ, জয়পুর, লখনউ, তিরুবনন্তপুরম, ম্যাঙ্গালুরু ও গুয়াহাটি এয়ারপোর্ট বেসরকারি হাতে দেওয়া হয়েছে। ওই ছ’টি এয়ারপোর্ট পরিচালনার দায়িত্বই গিয়েছে আদানি গোষ্ঠীর হাতে। 


করোনা সংক্রমণের কারণে ২০২০ সাল থেকে এয়ারপোর্ট পরিচালনার ক্ষেত্রে বিপুল লোকসানের সম্মুখীন হয়েছিল এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়া। পরে অবশ্য সবার আগে ঘুড়ে দাঁড়িয়েছে বিমান পরিষেবাই। একদিকে চড়চড় করে বাড়তে থাকা বিমান ভাড়া, আর তারপর এয়ার ইন্ডিয়ার বেসরকারিকরণ—বিপুল সাড়া মিলছে এই সেক্টরে। নড়েচড়ে বসেছে বিমান পরিবহণ শিল্প। সোমবারই এর চূড়ান্ত চুক্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। ১৩টি এয়ারপোর্ট বেসরকারি হাতে যাওয়ার পর চিহ্নিত হবে আরও ১২টি। উৎসবের মরশুম শেষ হলেই মোদি সরকার ঝাঁপিয়ে পড়বে বেসরকারিকরণে। সবচেয়ে বড় কর্মসূচি, জানুয়ারিতে এলআইসির শেয়ার বিক্রি। আর ভারত পেট্রলিয়াম, দু’টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক এবং একটি বিমা সংস্থা বিক্রির চূড়ান্ত রূপরেখা তৈরি। আসল লক্ষ্য, মার্চ মাসের মধ্যে বেসরকারিকণ বাবদ ১ লক্ষ ৭৫ হাজার কোটি টাকা রাজকোষে নিশ্চিত করা। 

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#modi govt, #India, #Privatisation, #airport

আরো দেখুন