উত্তরবঙ্গে গিয়ে বাংলা ডেয়ারি বিস্তারের পরিকল্পনা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী
উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে বাংলা ডেয়ারি বিস্তারের পরিকল্পনার কথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু দুধ নয়, মাংস ও ডিমের উৎপাদন যাতে বাড়ে, সেবিষয়ে বিশেষ জোর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর মতে, এই প্রকল্প চালু হলে রাজ্যে প্রচুর কর্মসংস্থান হবে।
এদিন কার্শিয়াঙে জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই বৈঠকে বাংলা ডেয়ারি প্রকল্প বিস্তারের ব্যাপারে পরিকল্পনার কথা জানান তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলায় অনেক সুযোগ রয়েছে। ডেয়ারি মানে শুধু দুধ নয়। মাংস ও ডিমও বিক্রি করা যাবে। উত্তরবঙ্গে মাশরুম খুবই বিখ্যাত। সেগুলি প্রসেসিং করে বিক্রি করা যাবে। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানান, বাংলার ডেয়ারি নাম করে দোকান খুলে দুধ, ডিম বিক্রি করা যেতে পারে। স্থায়ী দোকান না করে ভ্যান ব্যবহার করা যেতে পারে। দার্জিলিং, কার্শিয়াঙ ও কালিম্পংয়ের সব ব্লকে আউটলেট খোলা হবে। হাসপাতাল ও বাজার সংলগ্ন এলাকায় এই সব আউটলেট খুলতে হবে। এছাড়া প্রত্যন্ত এলাকাতেও এই আউটলেট খোলা হবে। এর জন্য রাজ্য সরকার ভর্তুকী দেবে। তিনি জানান, যে সব শিক্ষিত ছেলেমেয়েরা চাকরির জন্য বাইরে চলে যাচ্ছে, তাঁরা এই সব জায়গায় কাজ করতে পারবেন।
এদিন ডিমের উৎপাদন বাড়ানোর প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জোর দেওয়ার পরেই এই প্রসঙ্গে মুখ্য সচিব জানান, প্রত্যেক বছর রাজ্যে ৩৯০ কোটি ডিম উৎপাদনের ঘাটতি রয়েছে। সে সব ডিম বাইরে থেকে আনতে হয়। তাই আগামী তিন বছরের জন্য ডিম উৎপাদনের বিশেষ পরিকল্পনা সরকার নিয়েছে। তাতেও বড় কাজের সুযোগ হবে বলে জানান তিনি।
এদিন প্রশাসনিক বৈঠকে রাজ্যে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমরা কর্মসংস্থান নিয়ে আলোচনা করি। কিন্তু আমাদের সামনে থাকা জিনিসগুলোকে কীভাবে কাজে লাগানো যায়, সে বিষয়ে আমরা ওয়াকিবহাল নই। দার্জিলিংয়ে পাহাড়ের গায়ে যে গাছ থাকে, সেগুলির পাতা যদি রপ্তানি করা যায়, তা অত্যন্ত লাভজনক। সেই সঙ্গে রয়েছে প্রচুর কর্মসংস্থানের সুযোগ।’ এর পাশাপাশি এদিন ঝরনার জল ব্যবহার করে পাহাড়ে ওয়াটার বটলিং প্ল্যান্ট তৈরির পরামর্শও দেন তিনি, যার ফলে বাড়বে কাজের সুযোগ।