রবীন্দ্র সরোবরে এবারও হবে না ছট পুজো
গঙ্গা ছাড়াও কলকাতায় ৩৯টি ঘাটে ছট পুজোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তার জন্য কেএমডিএ’র পক্ষ থেকে সবরকম প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তবে ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুন্যালের নির্দেশে রবীন্দ্র সরোবরে ছট পুজো এবারও বন্ধ থাকবে। তার জন্য বিকল্প জলাশয় ও ঘাটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার সল্টলেকের উন্নয়ন ভবনে ছট পুজোর প্রস্তুতি নিয়ে এক বৈঠক করেন পুরমন্ত্রী তথা কেএমডিএ’র চেয়ারম্যান চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। সেই বৈঠকে কেএমডিএ’র সিইও অন্তরা আচার্য, পাটুলি এলাকার কো-অর্ডিনেটর অরূপ চক্রবর্তী, রবীন্দ্র সরোবর এলাকার প্রাক্তন কাউন্সিলার চৈতালি চট্টোপাধ্যায়, বিহারি সমাজের প্রতিনিধিরা, বিভিন্ন থানার আইসি, কেএমডিএ’র অফিসার-ইঞ্জিনিয়াররা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে কেএমডিএ’র সিইও অন্তরা আচার্য ছটপুজো’তে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তা ব্যাখ্যা করেন। বিহারি সমাজের প্রতিনিধিরা দাবি করেন, পোস্তা উড়ালপুলের ভাঙার কাজ চলার জন্য গঙ্গার দিকে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ রয়েছে। দু’দিনের জন্য সেই রাস্তা খুলে দেওয়ার দরকার। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য আশ্বাস দিয়ে বলেন, পুলিসের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলব। অরূপ চক্রবর্তী আগে থেকে বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের বোট ব্যবহারের প্রস্তাব দেন। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বিষয়টি নিয়ে বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন।
বিহারি সমাজকে সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, মহিলারা অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে এই পুজো করেন। রাস্তায় দণ্ডি কাটেন। এর জন্য রাস্তায় পরিষ্কার করে রাখা হচ্ছে। আমরা গঙ্গার ঘাট ছাড়াও ৩৯টি ঘাটের ব্যবস্থা করছি। সেই সব ঘাটের সামনে একটি করে মঞ্চ করা হবে। সেখান থেকে সবরকম সহযোগিতা পাবেন পুন্যার্থীরা। রবীন্দ্র সরোবর বন্ধ থাকায় আমরা বিকল্প জায়গার ব্যবস্থা করেছি।
অস্থায়ীভাবে যাদবপুর, কসবা, আনন্দপুর থানা এলাকায় ৩২টি ঘাট ঠিক করা হয়েছে। নোনাডাঙা ও পাটুলিতে সাতটি ঘাট স্থায়ীভাবে করা হয়েছে। প্রতিটি ঘাটের সামনে বাঁশের ব্যারিকেড করা হবে। যাতে জলাশয়ে কোনও বিপদ না ঘটে তার জন্য বোট ও বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের টিম থাকবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গঙ্গার ঘাটে সবরকম ব্যবস্থা করবে কলকাতা পুরসভা। ১০ ও ১১ নভেম্বর ছট পুজো রয়েছে। তার সবরকমের প্রস্তুতি শুরু করে দিল রাজ্য সরকার।