দিনহাটায় উদয়ন গুহর হয়ে প্রচার করলেন অভিনেত্রী সায়ন্তিকা ব্যানার্জি
দিনহাটা বিধানসভা উপনির্বাচনে দলীয় প্রার্থী উদয়ন গুহর সমর্থনে নিগমনগরের মেলার মাঠে মঙ্গলবার জনসভা করেন অভিনেত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদিকা সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন বিকেলে দিনহাটা-২ ব্লকের ওই নির্বাচনী সভা থেকে বিজেপিকে সায়ন্তিকা ভাঁওতাবাজ বলে তোপ দাগেন। অন্যদিকে, এদিন দিনহাটা শহরের গোধূলি বাজারে মিছিলে হাঁটেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, সদ্য প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক, দলের কোচবিহার জেলা সভানেত্রী মালতী রাভা রায়।
সায়ন্তিকা বলেন, ভোটের আগে বিজেপি বলেছিল, নারায়ণী সেনা গড়ে এখানকার যুবদের চাকরি দেবে। কোথায় গেল সেই প্রতিশ্রুতি? বিজেপি স্বপ্ন দেখছে দেখুক, স্বপ্ন দেখতে তো আর পয়সা লাগে না। বাংলা বাংলাই থাকবে। বাংলাকে গুজরাত বানানোর চেষ্টা ব্যর্থ হবে। বাংলার মানুষকে ভালাবাসা দিয়ে মন জয় করতে হয়। বঙ্গবাসীকে টাকা দিয়ে কেনা যায় না।
এদিনের ওই নির্বাচনী সভা থেকে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের ভোটের দিন কড়া নজর রাখতে বলেন সায়ন্তিকা। তিনি বলেন, দলের কর্মীদের বলছি, ৩০ অক্টোবর গুরুত্বপূর্ণ দিন। চোখ, কান খোলা রাখতে হবে। গত বিধানসভা নির্বাচনের সময় দেখেছি, একদল গদ্দার, মীরজাফর, বিশ্বাসঘাতক দুই নৌকায় পা দিয়ে বসেছিল। দূর থেকে বসে বসে জল মাপছিল কে জিতবে। যে জিতবে, সেই দিকে চট করে চলে যাবে। তাদের জন্য তৃণমূল দুধ-কলা দিয়ে কালসাপ পোষা বন্ধ করে দিয়েছে। এখন দূর থেকে কালসাপ দেখব, আর কারও দিকে যাতে ফোঁস করে না ওঠে। ফোঁস করলে সাঁপুড়ে ডেকে বিষদাঁত ভেঙে ঝুড়িতে ভরে দেব।
এদিনের নির্বাচনী সভায় প্রার্থী উদয়ন গুহ সহ এনবিএসটিসির চেয়ারম্যান পার্থপ্রতিম রায়, আব্দুল জলিল আহামেদ সহ অন্যান্য তৃণমূল নেতা উপস্থিত ছিলেন। নিগমনগরে সায়ন্তিকার নির্বাচনী সভায় তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকের ভিড় উপচে পড়ে। ভোটের পাঁচদিন আগে এত ভিড় দেখে উজ্জীবিত তৃণমূলের জেলা নেতারা। অন্যদিকে, মঙ্গলবার বিকেলেই বিজেপি প্রার্থী অশোক মণ্ডলের সমর্থনে দিনহাটা শহরের গোধূলি বাজার থেকে মিছিল হয়। শহরের পাঁচমাথা মোড়ে গিয়ে সেই মিছিল শেষ হয়। সেখানে বক্তব্য রাখেন বিজেপি নেতারা।
তৃণমূলকে তোপ দেগে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, ভাবুন কী ধরনের সন্ত্রাস চলছে। আমাদের সভা করার অনুমতি চাওয়া হয়েছিল, সেই অনুমতি দেওয়া হয়নি। পোস্টার, ব্যানার ছিঁড়ে দেওয়া হচ্ছে। আমাদের বিধায়করা প্রচারে গেলে ঘিরে ধরা হচ্ছে। তৃণমূলের এত ভয় কীসের। এতই যদি ওদের জনপ্রিয়তা, তাহলে তো এত ভয় থাকার কথা ছিল না। তৃণমূল ভয় পাচ্ছে মানে বিজেপির জয় হচ্ছে। আমাদের দলের প্রার্থী অশোক মণ্ডলকে ভোট দেওয়ার জন্য সকলকে আবেদন জানাই।
দিলীপ ঘোষ বলেন, দিনহাটায় ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে বাড়ি বাড়ি ধমকানো হচ্ছে। ধমকে চমকে ভোট করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কোচবিহারের মানুষ এই অত্যাচার সহ্য করে দু-দু’বার তার জবাব দিয়েছেন। আর তৃতীয়বার অশোক মণ্ডলকে এখান থেকে জিতিয়ে বিধানসভায় পাঠিয়ে হ্যাট্রিক করবেন, এই বিশ্বাস আমাদের আছে।