সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্যের স্ত্রী প্রয়াত
৪১ বছরের সঙ্গী। বহু সংগ্রামের সাথী। অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন, সাহস দিয়েছেন। বুধবার সকালে সেই পাশে থাকার মানুষকে হারালেন শিলিগুড়ির প্রাক্তন মেয়র তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য (Ashok Bhattacharya)। এদিনই তাঁর স্ত্রী রত্না ভট্টাচার্যের জীবনযুদ্ধ শেষ হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ত্রীর মৃত্যুর কথা নিজেই জানান বাম নেতা।
বেশ কয়েকদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন অশোক ভট্টাচার্যের স্ত্রী রত্না। শিলিগুড়ি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল তাঁর। তবে শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি। পরিবর্তে আরও অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। সে কারণেই গত বৃহস্পতিবার রত্নাকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতিও করা হয় তাঁকে। তবে শেষরক্ষা হয়নি। পরিবর্তে ঘটল অঘটন। প্রাণহানি হল তাঁর।
স্ত্রীর মৃত্যু নিয়ে বুধবার সকালে ফেসবুক পোস্ট করেন বাম নেতা। সেখানে লেখেন, “কিছুক্ষণ আগে চলে গেল আমার ৪১ বছরের জীবনের সঙ্গী, আমার লড়াই সংগ্রামের সাথী, আমার অনুপ্রেরণা, আমার সাহস, আমার কাজ, আমার মানুষের পাশে থাকা আমার স্ত্রী রত্না ভট্টাচার্য।” সিপিএমের সক্রিয় কর্মী ছিলেন অশোক জায়া। সমাজের যেকোনও স্তরের মানুষের সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক ছিল। বাম নেতা লেখেন, “ও শুধু আমাদের পার্টির একজন সদস্য ছিল না, ছিল একজন লড়াকু । আমার সহধর্মিণী বলে বলছি না, ও ছিল একজন প্রকৃত ভাল মেয়ে, একজন উদার, নমনীয়, সবাইকে ভালোবাসতে পারত। মন্ত্রী বা মেয়রের স্ত্রী হিসেবে ওর নিজের মধ্যে কোনওদিন কোনো রকম ঔদ্ধত্য ছিল না। সেভাবে কোন পরিচয় দিত না। বহু মানুষ, বহু রাজনীতিবিদ, বহু খেলোয়াড়ের সঙ্গে ওর ছিল এক মধুর সম্পর্ক। অনেক খেলোয়াড়রা তাকে নিজের কাকিমা বলে মনে করত।”
আপাতত কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালেই বাম নেতার স্ত্রীর দেহ শায়িত রয়েছে। কোথায়, কখন দেহ সৎকার হবে, সে বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত তাঁর পরিবার এবং দলের তরফে নেওয়া হবে। দুঃসংবাদ পাওয়মাত্রই বাম নেতাকে ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সমবেদনা জানান তিনি। দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা সোশ্যাল মিডিয়ায় শোকজ্ঞাপন করেন।