ট্রেড লাইসেন্স বিভাগে অতিরিক্ত ৫ কোটি টাকা ফি আদায়
গতবছর করোনাকালে ব্যবসা খুব একটা জমেনি। ফলে অনেক ব্যবসায়ী সঠিকভাবে ট্রেড লাইসেন্স পুনর্নবীকরণও করেননি কিংবা ঠিকমতো ফি জমা দেননি। তবে চলতি বছর খানিকটা হলেও ব্যবসার হাল ফিরেছে। ফলে কলকাতা পুরসভার কোষাগারে এই খাতে টাকাও ঢুকছে। তথ্য বলছে, গত বছরের তুলনায় চলতি বছর এখনও পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কোটি টাকা অতিরিক্ত আয় করেছে পুরসভার ট্রেড লাইসেন্স বিভাগ। ফলে, অর্থবর্ষ শেষে আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছুঁয়ে ফেলা যাবে বলে মনে করছেন বিভাগীয় আধিকারিকরা।
ট্রেড লাইসেন্স বিভাগ সূত্রে খবর, গত অর্থবর্ষের, অর্থাৎ ২০২০-২১ সালে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত পুরসভার ট্রেড লাইসেন্স বিভাগ ফি আদায় করেছিল ৩৬ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে, অর্থাৎ ২০২১-২২ সালের ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত এই খাতে আদায় হয়েছে প্রায় ৪১ কোটি টাকা। এটি পুর আধিকারিকদের কাছে কিছুটা হলেও স্বস্তির। পুজোর ছুটিতে ১১ অক্টোবর থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত শুধু অনলাইনেই আদায় হয়েছে প্রায় ৩৬ লক্ষ টাকা। এই কয়েকদিনেই এক হাজারেরও বেশি নতুন লাইসেন্স অনলাইনে আবেদন করে পেয়েছেন গ্রাহকরা। যদিও করোনার আগে, অর্থাৎ ২০১৯-২০ অর্থবর্ষ ধরলে অবশ্য এই ফি আদায়ে দু’কোটি টাকার মতো ঘাটতি রয়েছে। সেই বছর এই সময় পর্যন্ত আদায় হয়েছিল প্রায় ৪৩ কোটি টাকা। এক বিভাগীয় কর্তা বলেন, ফের স্বাভাবিক অবসথার দিকে আমরা এগচ্ছি বলেই মনে হচ্ছে। অনেক ব্যবসায়ী আবার ধারাবাহিকভাবে বকেয়া ফি জমা করছেন। নতুন নতুন ব্যবসা খুলছে। অনেকেই লাইসেন্স পুনর্নবীকরণ করাচ্ছেন। যা গতিপ্রকৃতি, তাতে আশা করা যায়, ২০১৯ সালের আয় আমরা টপকে যেতে পারব।
তবে, এই ফি আদায় বৃদ্ধিতে কিছুটা হলেও ইন্ধন জুগিয়েছে বকেয়াধারীদের বিরুদ্ধে পুরসভার অভিযান। আধিকারিকরা বিভিন্ন টিমে ভাগ হয়ে শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরেছেন। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করে অতিরিক্ত বকেয়া দিতে বাধ্য করা হয়েছে। আবার অনেক ব্যবসায়ী নানা জটিলতার কারণে ফি জমা করতে পারছিলেন না। সেই জটিলতা কাটিয়ে টাকা আদায় করেছে কর্তৃপক্ষ। ফলে, ট্রেড লাইসেন্স থেকে আয় বেড়েছে।