দুর্ঘটনায় নিহত বিজেপি নেত্রীর আহত পরিবারের চিকিৎসার দায়িত্ব নিল রাজ্য
পথ দুর্ঘটনায় দাপুটে নেত্রী তথা কো-অর্ডিনেটরের তিস্তা বিশ্বাসের মৃত্যুতে শোকের ছায়া বিজেপি শিবিরে। শোকপ্রকাশ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সূত্রের খবর, তাঁরই ব্যবস্থাপনায় কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে তিস্তাদেবীর স্বামী ও মেয়েকে ভরতি করা হয়েছে। এদিকে খবর পেয়ে রাতেই তিস্তার গড়চার বাড়িতে যান পুরমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও বিধায়ক দেবাশিস কুমার। পরে চন্দ্রিমা জানান, “অবন্তিকাই প্রথম বাড়িতে ফোন করে পিসিকে দুর্ঘটনার খবর জানিয়েছে। রাজ্য সরকার মৃত কাউন্সিলরের স্বামী ও কন্যাকে চিকিৎসা ও অন্যান্য সাহায্য দেওয়ার কথা জানিয়েছে।” বৃহস্পতিবারই তিস্তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হওয়ার কথা বলে খবর।
তমলুকের কাছে জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন কলকাতা পুরসভার ৮৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী বিজেপি কাউন্সিলর তথা কো—অর্ডিনেটর তিস্তা বিশ্বাস (৪৩)। হেড়িয়ার একটি কলেজ থেকে এমএড—এর সার্টিফিকেট নিয়ে কলকাতা ফেরার পথে বুধবার সন্ধ্যায় নিমতৌড়িতে দুর্ঘটনায় পড়েন তিনি। গাড়ি চালাচ্ছিলেন তিস্তার স্বামী গৌরব বিশ্বাস, সামনেই পাশে বসে ছিলেন ১২ বছরের মেয়ে অবন্তিকা। আর তিস্তা বসেছিলেন গাড়ির পিছনের সিটে।
মৃতার স্বামী গৌরব এদিন তমলুক হাসপাতালে বসে পুলিশকে জানিয়েছেন, “একটি অয়েল ট্যাঙ্কার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এসে প্রবল গতিতে আমাদের গাড়িতে ধাক্কা মারে। প্রবল ধাক্কায় গাড়িটি দুমড়ে—মুচড়ে যায়, আটকে পড়ি আমরা। পিছনের সিটে ছিল তিস্তা।” তিস্তা—সহ তিনজনকেই উদ্ধার করে পুলিশই তমলুক হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে নিয়ে আসার পর চিকিৎসকরা পুর কো—অর্ডিনেটরকে মৃত ঘোষণা করে। পুলিশের দাবি, ঘটনাস্থলেই বিদায়ী কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। তবে স্বামী ও কন্যার আঘাত গুরুতর না হলেও রাতেই দু’জনেক কলকাতায় নিয়ে এসে বাইপাসের পাশে বেসরকারি হাসপাতালে ভতি করা হয়েছে।
দলীয় কাউন্সিলরের দুর্ঘটনায় মৃত্যুর খবর জানিয়ে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। গেরুয়া শিবিরে দাপুটে নেত্রী হিসেবে যথেষ্ট পরিচিত ছিল তিস্তার। ভবানীপুরে উপনির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়ালের নাম ঘোষণা হওয়ার আগে বিজেপি-র প্রার্থী হিসেবে তিস্তার নাম নিয়েও দলের অন্দরে জোর আলোচনা হয়েছিল।