রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

কেরোসিন তেল বন্টন সংক্রান্ত নতুন নীতি তৈরি করার ভাবনা রাজ্য সরকারের

October 28, 2021 | 2 min read

কেরোসিন তেল বণ্টন সংক্রান্ত নতুন নীতি তৈরি করার বিষয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছে রাজ্য সরকার। এর জন্য খাদ্য দপ্তর আধিকারিকদের নিয়ে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করেছে। ওই কমিটি ইতিমধ্যে রেশনের মাধ্যমে কেরোসিন সরবরাহ ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত ডিলার এবং হোলসেলারদের সংগঠনগুলির সঙ্গে বৈঠক করে কয়েকটি বিকল্প প্রস্তাব দিয়ে তাদের মতামত চেয়েছে। রাজ্যে এখন যে  বণ্টন নীতি আছে, তাতে শুধু রাজ্যের রেশন গ্রাহকদের কেরোসিন দেওয়া হয়। সব রেশন গ্রাহকও সমহারে কেরোসিন পান না। জঙ্গলমহল, সুন্দরবন  সহ কিছু এলাকায় মাথা পিছু মাসে এক লিটার করে কেরোসিন দেওয়া হয়। বাকি  সব জায়গায় ডিজিটাল রেশন কার্ডে বরাদ্দ ৫০০ মিলিলিটার। কাগজের রেশন কার্ড থাকলে বরাদ্দ ১৫০ মিলিলিটার কেরোসিন। জানা গিয়েছে, রেশন কার্ড না থাকা ব্যক্তিদের কেরোসিন তেল দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছে সরকার। এব্যাপারে ডিলার ও হোলসেলারদের মতামত চাওয়া হয়েছে। 


রাজ্যের সব রেশন গ্রাহককে সমহারে কেরোসিন দেওয়ার ব্যাপারে বিশেষ কমিটি বৈঠকে মতামত জানতে চেয়েছিল। ডিলার ও হোলসেলারদের সংগঠন এর পক্ষে সায় দিয়েছে। এক দেশ এক রেশন কার্ড ব্যবস্থা রাজ্যে চালু হয়েছে। খাদ্যশস্যর মতো কেরোসিন ভিন রাজ্যের রেশন গ্রাহকদের তুলতে দেওয়া হবে কি না, সেব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া সংগঠনগুলি দিয়েছে। তবে খাদ্য দপ্তরের বিশেষ কমিটি রান্নার গ্যাস নেই, এমন রেশন গ্রাহকদের শুধু কেরোসিন দেওয়ার ব্যাপারে মতামত জানতে চাইলে, তাতে আপত্তি জানানো হয়। ডিলারদের বক্তব্য, অনেক গরিব পরিবার গ্যাসের সংযোগ থাকলেও, মূল্যবৃদ্ধির জন্য সেটি তুলতে পারছেন না। ওই ধরনের গ্রাহকরা কেরোসিনের উপর নির্ভরশীল। রেশন কার্ড না থাকলেও কেরোসিন দেওয়ার ব্যাপারে যে প্রস্তাব রাখা হয়েছে, সে ব্যাপারে মতামত দিয়েছে সংগঠনগুলি। তাদের বক্তব্য, রেশন কার্ড যাঁদের থাকবে না, তাঁদের জন্য যেন বিশেষ পারমিট ইস্যু করা হয়। রাজ্য সরকারের নির্ধারিত মাত্রা অনুযায়ী পারমিটের ভিত্তিতে তাদের কেরোসিন দেওয়া হবে। সরকারি সূত্রের খবর, মতামত নেওয়ার পর পুরো বিষয়টি পর্যালোচনা করে নতুন কেরোসিন বণ্টন নীতি তৈরি করা হবে।

রেশনে বণ্টনের জন্য এখন  রাজ্যকে প্রায় ৫৮ হাজার কিলোলিটার কেরোসিন মাসে বরাদ্দ করে কেন্দ্রীয় সরকার। দেশের মধ্যে সর্বাধিক পরিমাণ কেরোসিন পায় পশ্চিমবঙ্গ। দেশের মোট বরাদ্দের প্রায় এক তৃতীয়াংশ শুধু এরাজ্যে আসে। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া সব রাজ্যে বরাদ্দ কমানো হয়েছে। অনেকগুলি রাজ্য কেন্দ্রীয় সরকারের চাপে কেরোসিনের বরাদ্দ ছেড়ে দিয়েছে। হাইকোর্টে দায়ের হওয়া একটি মামলায় স্থগিতাদেশ থাকার জন্য পশ্চিমবঙ্গের কেরোসিনের কোটা কমাতে পারেনি কেন্দ্র। কেরোসিন এজেন্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন এই মামলাটি করেছে। সংগঠনের পক্ষ থেকে সম্প্রতি রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে, সরকার পাশে না দাঁড়ালে তাঁরা মামলা থেকে সরে যাবেন। সেক্ষেত্রে রাজ্যে কেরোসিনের বরাদ্দ কমে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। 

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#West Bengal, #Ration, #kerosene, #kerosene oil

আরো দেখুন