আমতলী ঘটনায় নিষ্ক্রিয় ত্রিপুরা পুলিশ, সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ সুস্মিতা
বিপ্লব দেবের রাজ্যে বারবার আক্রমণের নিশানায় তৃণমূল। দিনকয়েক আগেই আক্রান্ত হয়েছিলেন রাজ্যসভার TMC সাংসদ সুস্মিতা দেবও (Sushmita Dev)। ত্রিপুরায় হামলা চালানো হয়েছিল রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেবের গাড়িতে। তাঁর ব্যাগও ছিনতাই করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। এরপরই ত্রিপুরায় তাঁর গাড়ির ওপর হামলায় যাঁরা অভিযুক্ত, তাঁদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছিলেন সুস্মিতা দেব। ত্রিপুরার ডিজিপি-কে এই দাবি জানিয়ে চিঠিও লিখেছেন তিনি। কিন্তু তাতেই আটকে থাকতে চাইছেন সুস্মিতা। এবার তিনি দ্বারস্থ হলেন সুপ্রিম কোর্টের। ত্রিপুরায় তৃণমূল নেতা-কর্মীদের নিরাপত্তার দাবি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।
ত্রিপুরার রাজ্যপালের সঙ্গেও তৃণমূল প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ করার কথা থাকলেও তা সম্ভব হয়নি। তবে, ত্রিপুরার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে চিঠি দিয়েছেন রাজ্যপালকে। গত ২৩ অক্টোবর আমতলি বাজার এলাকায় যাঁরা তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের ওপর হামলা চালাল, তাঁদের নাম পুলিশকে জানানো সত্ত্বেও কেউ গ্রেফতার হয়নি বলে অভিযোগ তাঁর।
দিনকয়েক আগেই ‘ত্রিপুরার জন্য তৃণমূল’ কর্মসূচি শুরু করছে ঘাসফুল শিবির। সুস্মিতা দেবের অভিযোগ, ‘ত্রিপুরার জন্য তৃণমূল’ কর্মসূচিতে তৃণমূল নেতাকর্মীরা মানুষের কাছে ঠিকই পৌঁছে যাবেন। পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী ভাবে উন্নয়ন কর্মসূচি চালাচ্ছেন, সেটা ত্রিপুরার মানুষকে বোঝাতে হবে। আর সেই কারণেই ভয় পেয়ে এই হামলা চালাচ্ছে BJP। ওই কর্মসূচি শুরু হওয়ার দিনই সুস্মিতা দেবদের উপর হামলা চলে বলে অভিযোগ।
২০২৩ -এর বিধানসভা ভোটের দু’বছর আগে থেকেই উত্তর-পূর্বের রাজ্য ত্রিপুরায় সক্রিয়তা তুঙ্গে বাড়িয়েছে তৃণমূল। একাধিকবার ত্রিপুরায় গেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এবার আবার ত্রিপুরা যাওয়ার কথা রয়েছে তাঁর, তার আগেই তৃণমূল নেতাদের উপর একের পর এক হামলা চলছে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের উপর।
তৃণমূলের উপর পরপর হামলার নিন্দা করেছে বামেরা। ২৫ নভেম্বর পুরভোট হবে ত্রিপুরায়। বিধানসভা ভোটকে পাখির চোখ করে তৈরি কংগ্রেসও। ৬০ আসন বিশিষ্ট ত্রিপুরা বিধানসভার সব আসনে প্রার্থী দেবে কংগ্রেস। একাই লড়বে তারা। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের সক্রিয়তা আলাদা করে নজর কাড়ছে রাজনৈতিক মহলের।