আগরতলায় অভিষেকের সভার মঞ্চ ভেঙে দেওয়ার হুঁশিয়ারি ত্রিপুরা পুলিশের
রবিবার ত্রিপুরার (Tripura) রাজধানী আগরতলায় পূর্বঘোষিত জনসভা রয়েছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেইমতো শনিবার আগরতলা রবীন্দ্র শতবার্ষিকি হলের সামনের রাস্তায় মঞ্চ বাঁধা, পতাকা লাগানোর কাজ চলছিল। গোটা কর্মকাণ্ড তদারকি করছিলেন কুণাল ঘোষ, জয়া দত্ত, সুদীপ রাহারা। কিন্তু তারমধ্যেই এসে হাজির হল পশ্চিম জেলা পুলিশ। সাফ জানিয়ে দেওয়া হল, ওই জায়গায় সভা করা যাবে না।
যা নিয়ে ত্রিপুরায় অভিষেকের সভা নিয়ে জটিলতা তৈরি হল একেবারে শেষলগ্নে। শনিবার বিকেল পৌনে চারটে নাগাদ আগরতলা থেকে সংবাদ মাধ্যমকে কুণাল ঘোষ বলেন, “সভার প্রস্তুতি যখন সারা তখন শেষ মুহূর্তে পুলিশ এসে বলছে এখানে সভা করা যাবে না। এটা কী হচ্ছে! পুলিশই তো অনুমতি দিয়েছিল এই জায়গায় সভা করার।”
তাহলে বিকল্প কী?
যদিও পুলিশের তরফে বলা হয়েছে, ওই রাস্তা অত্যন্ত সরু। যে জমায়েত হবে বলে খবর তাতে ওই জায়গায় কোভিড বিধি রক্ষা করা যাবে না। পুলিশ প্রস্তাব দিয়েছে আস্তাবল ময়দান বা অন্যত্র সভা সরিয়ে নিয়ে যেতে। কিন্তু বিকেল পৌনে চারটে পর্যন্ত তৃণমূল এ ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। তৃণমূলের নেতারা দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে আলোচনা করছেন। কিন্তু পুলিশের তরফে বারবার বলা হচ্ছে, কোনও ভাবেই ওই জায়গায় সভা করার অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়। জোর করে তা করতে গেলে অন্যরকম ব্যবস্থা নিতে হবে।
যে পুলিশ কর্তা প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের কথা জানাতে এসেছিলেন তাঁকে তৃণমূলের তরফে বলা হয়, প্রশাসনই তো অনুমতি দিয়েছিল ওই জায়গায় সভা করার। জবাবে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে তিনি কিছু বলতে পারবেন না। তৃণমূলের নেতারা যেন প্রশাসনের উপরতলায় কথা বলেন।
সব মিলিয়ে অভিষেকের সভার যখন আর ১২ ঘন্টাও বাকি নেই তখন আগরতলার মঞ্চ বাঁধা এবং সভা হওয়া নিয়ে বড় জটিলতা তৈরি হল। যাকে বিজেপির ছক বলেই মনে করছে তৃণমূল।