রাজ্যের সব রেশন ডিলারকে দুয়ারে রেশন কর্মসূচির আওতায় আনল খাদ্যদপ্তর
আগামী নভেম্বর মাস থেকে রাজ্যের সব রেশন ডিলারকে দুয়ারে রেশন কর্মসূচির আওতায় আনল খাদ্যদপ্তর। তবে যে ৫০ শতাংশ ডিলার নভেম্বরে প্রথম এই কর্মসূচির আওতায় আসবেন তাঁরা মাসের দ্বিতীয়ার্ধে ১৬ তারিখ থেকে এটা শুরু করবেন। অক্টোবর মাসে যে ৫০ শতাংশ ডিলার ইতিমধ্যেই এর আওতায় ছিলেন তাঁদের নভেম্বরের গোড়া থেকে দুয়ারে রেশন কর্মসূচি শুরু করে দিতে হবে। নভেম্বর মাসে দুয়ারে রেশনের কর্মসূচি সম্বলিত বিজ্ঞপ্তিও খাদ্য দপ্তর জারি করেছে। রাজ্যের প্রায় ২১ হাজার রেশন ডিলারের সবাইকে নভেম্বরে দুয়ারে রেশনের আওতায় আনা হলেও এখনও এটিকে পাইলট বা পরীক্ষামূলক বলে উল্লেখ করছে খাদ্যদপ্তর। এবারের বিজ্ঞপ্তিতে অবশ্য জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কেন্দ্রীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনে থাকা ব্যবস্থা অনুযায়ী এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এই প্রসঙ্গে ওই আইনের নির্দিষ্ট ধারা উল্লেখ করা হয়েছে।
খাদ্যদপ্তর নভেম্বর মাসের যে সূচি তৈরি করেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, মোট ১৬ দিন দুয়ারে কর্মসূচি চলবে। ডিলারদের ১৬টি ক্লাস্টার তৈরি করে খাদ্যশস্য দিতে বলা হয়েছে। নভেম্বর মাসে বিভিন্ন উৎসবের জন্য বেশ কয়েকটি দিন রেশনে খাদ্যশস্য সরবরাহ বন্ধ থাকবে। ওই মাসে শুধু শনিবার রেশন দোকান খোলা রেখে খাদ্যশস্য দেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট রাখা হয়েছে। রবিবার সকালের অর্ধে রেশন দোকান খোলা থাকে। কোনও এলাকা বাদ পড়লে ওই দিনও দুয়ারে কমর্সূচি পালন করতে বলা হয়েছে। যদিও প্রথমবার এই প্রকল্পে যে ডিলাররা অংশ নেবেন তাঁরা এমাসে ১৫ তারিখ পর্যন্ত দোকান থেকে খাদ্যশস্য সরবরাহ করবেন। আগামী মাসে সব ডিলারকে মাসের গোড়া থেকে দুয়ারে প্রকল্পে অংশ নিতে হবে বলে খাদ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে।
রেশন ডিলারদের একটা বড় অংশের দুয়ারে রেশন প্রকল্পটি চালাতে আপত্তি আছে। জয়েন্ট ফোরাম ফর ওয়েস্টবেঙ্গল রেশন ডিলারস সম্মেলন ডেকে এই কর্মসূচিতে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু তা সত্বেও গ্রাম ও জেলা শহরের সংশোধিত রেশন এলাকায় অধিকাংশ ডিলার এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। কলকাতা ও সংলগ্ন স্থানে বিধিবদ্ধ রেশন এলাকায় ডিলারদের একটা বড় অংশ এতে অংশ নেননি। ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু ও নিখিলেশ ঘোষের অভিযোগ, চাপ দিয়ে বহু ডিলারকে দুয়ারে প্রকল্পে অংশ নিতে বাধ্য করা হয়েছে। অনেক ডিলারকে শো-কজ করা হয়েছে। আগামীদিনে আইনি লড়াইয়ে এই বিষয়টি তুলে ধরা হবে।